পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল আজ (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে। ঈদযাত্রার প্রথম দিনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেনগুলো প্রায় সময়মতোই স্টেশন ছেড়েছে, যা যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু মাত্র রংপুর এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের থেকেও ২০ মিনিট দেরি করে যাত্রা শুরু করে। তবে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি যাত্রীরা।
এদিন সকালে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি মো. মোর্শেদ আলম স্ব-শরীরে ঘুরে দেখেন, রাতের অন্ধকার ফুরানোর আগেই স্টেশনে আসছেন হাজারো যাত্রী। প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদ্যাপন করার উদ্দেশ্যে বাড়ি ফিরতে মুখিয়ে থাকা মানুষের পদচারণায় মূহুর্তের মধ্যেই মুখরিত হয় স্টেশন চত্বর।
বাড়ি ফেরা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্টেশনে তিন স্তরের চেকিং ব্যবস্থা রেখেছ বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। টিকিটবিহীন কেউ যেন স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেল পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ঈদে বাড়ি ফিরতে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষ
স্টেশনে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশরা হলেন শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী পরিবারের সদস্য, যারা ঈদের ছুটি কাটাতে নিজ নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।
জামালপুর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে আমি বাড়ি যাচ্ছি। গতকাল থেকে ছুটি শুরু হলেও গতকালের টিকিট পাইনি, ফলে আজ বাড়ি যাচ্ছি। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকম।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিবারের সদস্যদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন ইমরান হোসেন। ২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধির সাথে কথা হয় তার। এসময় তিনি বলেন, ঈদের ঠিক কাছাকাছি সময়ে রংপুর যাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে ওঠে। তাই নিরাপদে বাড়ি পৌঁছার জন্য পরিবারের সদস্যদের আজই বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছি। আগে থেকে টিকিট কাটা হয়েছিল, আমার ঈদের ছুটি শুরু হতে আরও ৫ দিন লাগবে।
কথা হয় সুন্দরবন এক্সপ্রেসের যাত্রী আফসানা বেগমের সাথে। তিনি জানান,
ঈদ মানেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, আর তাই অনেক কষ্ট করেও টিকিট সংগ্রহ করেছি। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের সময় চেকিংয়ে টিটিইরা টিকিট চেক করেছে। কিছুটা ভিড় থাকলেও সবাই শৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের এই উদ্যোগ বেশ প্রশংসনীয়।
রেলওয়ে কর্মকর্তরা জানান, যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। গত রাতের মধ্যে প্রত্যেকটি ট্রেন ঢাকায় আনা হয়েছে।