ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ফের বহিরাগতদের আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ মে) রাত ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এক বহিরাগত তরুণ-তরুণীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে সহকারী প্রক্টরের নেতৃত্বে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সহকারী প্রক্টরের নজরে আসার পর ওই যুগলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিকভাবে তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টা করলেও পরে স্বীকার করেন যে, তারা কেউই ঢাবির ছাত্রছাত্রী নন। মেয়েটি জানায়, সে বিবাহিত এবং একটি সন্তান রয়েছে। অথচ গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক অচেনা যুবকের সঙ্গে অবস্থান করছিল। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, বারবার বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ঢাবির শিক্ষার্থীরা প্রায়শই এই ধরনের ঘটনার দায় নিজেদের কাঁধে নিতে বাধ্য হন।
ঢাবির একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষাঙ্গন, পার্ক নয়। অথচ কেউ কেউ এটি প্রেমিক-প্রেমিকাদের অবাধ মিলনের স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অনেক আপত্তিকর ছবি ও ভিডিওর ব্যক্তিরা ঢাবির শিক্ষার্থী না হলেও, দোষ গিয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। এই পরিস্থিতি বন্ধে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানায়, বহিরাগত নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে এবং নিয়মিত নজরদারি চালানো হবে।