ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে গত সপ্তাহে (১২ এপ্রিল,২০২৫) ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মচারী। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন ও দায়িত্বে অবহেলার মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী।
চারুকলায় গত সপ্তাহে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে ফ্যাসিবাদের মোটিফ ও শান্তির পায়রাসহ একাধিক মূল্যবান শিল্পকর্ম পুড়ে যায়। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গভীর হতাশা নেমে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার কাজের মাধ্যমে কিছু শিল্পকর্ম পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হলেও অনেক কাজ এখনও নিখোঁজ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “এই ঘটনায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। শিল্পকর্মের ক্ষতির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক আঘাতও গভীর। আমরা পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, “তদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি যে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চরম গাফিলতি ছিল। আগুন লাগার সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের দায় নিশ্চিত করে মামলার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।”
এই ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দাবি জানিয়েছেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিক ও কার্যকর করতে হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অগ্নিকাণ্ড একটি বড় অ্যালার্ম। এবং এটি একটি রহস্যজনক ও সুপরিকল্পিত ঘটনা। দ্রুত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা উচিৎ