পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে দেশের সিনেমা পাড়া। এবারের ঈদে দর্শকদের জন্য বড় চমক নিয়ে আসছে ছয়টি নতুন বাংলা চলচ্চিত্র। দীর্ঘদিন পর ঈদের মৌসুমে ঢালিউডে এমন তারকাবহুল ও বৈচিত্র্যময় ছবি একসঙ্গে মুক্তি পেতে যাচ্ছে, যা ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
মুক্তির জন্য চুড়ান্ত হয়েছে যেসব সিনেমা
ছবিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে রায়হান রাফীর ‘তাণ্ডব’। এই রাজনৈতিক থ্রিলারে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও জয়া আহসান। সঙ্গে রয়েছেন তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় মুখ সাবিলা নূর। একটি টিভি স্টেশনে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে গল্পটি। ছবিটির ‘লিচুর বাগানে’ শিরোনামের গানটি ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে।
পরিবারকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে আসছে ‘উৎসব’, পরিচালনায় তানিম নূর। এই ছবিতে একই ফ্রেমে দেখা যাবে জাহিদ হাসান, আফসানা মিমি, চঞ্চল চৌধুরী, অপি করিম ও ইন্তেখাব দিনারকে। ‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ—পরিবার ছাড়া দেখা নিষেধ’ এই ট্যাগলাইনে সাজানো হয়েছে ছবিটি, যা দর্শকদের মধ্যে বাড়তি কৌতূহল তৈরি করেছে।
অন্যদিকে অ্যাকশনপ্রেমীদের জন্য থাকছে সঞ্জয় সমাদ্দারের পরিচালনায় ‘ইনসাফ’। এখানে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ, তাসনিয়া ফারিণ ও মোশাররফ করিম। টিজার ও পোস্টারে রাজের নতুন লুক নজর কেড়েছে দর্শকদের।
আরও রয়েছে ‘টগর’, যেখানে জুটি বেঁধেছেন আদর আজাদ ও পূজা চেরি। আলোক হাসানের পরিচালনায় নির্মিত এই ছবির গল্প গড়ে উঠেছে বন্দর এলাকার কালোবাজার ও সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে।
থ্রিলার ঘরানার ছবির তালিকায় আছে ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’, পরিচালনায় সানী সানোয়ার। পুলিশের একজন গোয়েন্দা অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন। ভালোবাসা দিবসে ঘটানো তিনটি খুনের রহস্য ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ছবিটির কাহিনি।
সবশেষে রয়েছে ‘নীলচক্র’, যেখানে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ ও কলকাতার মন্দিরা চক্রবর্তী। মিঠু খানের পরিচালনায় নির্মিত এ ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ সমাজের অন্তঃসারশূন্যতা ও বিপন্নতা।
ঈদের দিন থেকেই এসব সিনেমা দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে। সবার প্রত্যাশা, এই ঈদে দর্শকরা হলে ফিরবেন, বাংলা সিনেমা পাবে নতুন গতি ও চাঞ্চল্য। সিনেমাপ্রেমীদের জন্য এবারের ঈদ হতে যাচ্ছে একাধিক গল্পে, একাধিক তারকায় ভরপুর এক রঙিন উৎসব।
গত বছর সেপ্টেম্বরে সেন্সর বোর্ড যুগের ইতি ঘটে। দেশে প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’ গঠন করে সরকার। তার পর থেকে নানা পরিবর্তনের মধ্যে সিনেমাগুলো গ্রেডিং করে দেওয়া হচ্ছে।
