বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ দেখতে মাঠে ফারুক আহমেদ

New-Project-2025-06-10T191127.739.png

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ দেখতে মাঠে ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ফুটবলে যেন এক নতুন জোয়ার শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় দলের পারফরম্যান্স নতুন করে আশা জাগাচ্ছে ক্রীড়াপ্রেমীদের মনে। বিশেষ করে হামজা, শমিত ও ফাহামেদুলের মতো তরুণ প্রতিভাদের আগমনে ফুটবল নিয়ে নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছে পুরো ক্রীড়াঙ্গন।

এই উন্মাদনা এতটাই যে, এখন আর কেবল ফুটবল অনুরাগী নয়, ক্রিকেট অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরাও আগ্রহ নিয়ে ফুটবলের দিকে চোখ রাখছেন। এর প্রমাণ হিসেবে আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দেখা গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে, যিনি স্বচক্ষে হামজাদের কারিকুরি দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিলেন।

সন্ধ্যা ৭টায় এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাটে নেমেছে বাংলাদেশ বনাম সিঙ্গাপুর। এই ম্যাচকে ঘিরে সকাল থেকেই স্টেডিয়াম এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করেন ফুটবলপ্রেমীরা। দুপুরের আগেই স্টেডিয়াম পাড়া জনসমুদ্রে পরিণত হয়, যা দেশের ফুটবলের প্রতি মানুষের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের এক সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।

টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রেও দেখা গেছে অভূতপূর্ব সাড়া; অনলাইন টিকিট বিক্রি শুরুর অল্প সময়ের মধ্যেই সাধারণ দর্শকদের জন্য বরাদ্দ ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট ফুরিয়ে যায়, যা নিঃসন্দেহে ফুটবল দলের প্রতি দর্শকদের আস্থার প্রতিফলন।

ফুটবলের প্রতি এই ইতিবাচক মনোভাব শুধু দর্শকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, দেশের তারকা ক্রিকেটাররাও এখন ফুটবল দলকে শুভকামনা জানাচ্ছেন। জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাতীয় ফুটবলারদের একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, “শুভকামনা বাংলাদেশ।”

একই সুর শোনা গেছে আরেক পেসার খালেদ আহমেদের কণ্ঠেও। তিনি হামজা, শমিত ও ফাহামেদুলের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “আজকের ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের শুভকামনা।” সঙ্গে তিনি ম্যাচের ভেন্যু ও শুরুর সময়ও উল্লেখ করে ফুটবলপ্রেমীদের আরও উৎসাহিত করেছেন।

এদিকে, মাঠে নামার আগেই দলের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা। অধিনায়ক হামজা চৌধুরী ম্যাচের আগেই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যেকোনো মূল্যে এই ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, “আমরা চাই আমাদের দলের দিকে মনোযোগ দিতে। সবাই দেখতে পারে যে আমরা খুব ইমপ্রুভ করতেছি। আমরা টিমে কনসেনট্রেট (মনোযোগ) করতাম, আর একবারে অ্যাগ্রেসিভ (আক্রমণাত্মক) খেলতাম আর ইনশাআল্লাহ ওটা করলে আমরা জিতমু।” হামজার এই আত্মবিশ্বাসী বার্তা দলের জয়ের আকাঙ্ক্ষাকে আরও জোরালো করেছে।

বাংলাদেশের ফুটবল নিঃসন্দেহে এক নতুন দিগন্তে পা বাড়াচ্ছে। দর্শকদের ব্যাপক সমর্থন এবং অন্য ক্রীড়া শাখার তারকাদের শুভেচ্ছা, সব মিলিয়ে আজকের সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে এক ভিন্ন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে, যা দেশের ফুটবলের সোনালী দিনের প্রত্যাশাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

Leave a Reply

scroll to top