সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি

সচিবালয়ের প্রবেশপথ বন্ধ করে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে নতুন জারি হওয়া অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করছেন কর্মচারীরা। আজ সোমবার (২৬ মে) সকাল সোয়া ১১টার পর থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে কর্মচারীরা সচিবালয়ের সকল প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছেন, যা নজিরবিহীন অচলাবস্থার সৃষ্টি করেছে।

এদিন প্রথমে ৬ নম্বর ভবনের পাশে বাদামতলায় কর্মচারীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তরের দিকে অগ্রসর হন। কর্মচারীদের অবস্থানের কারণে সচিবালয়ে প্রবেশের প্রধান ফটকসহ অন্যান্য সকল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কর্মচারীরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দপ্তর যে ভবনে, সেই ভবনের সামনে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিক্ষোভ চলাকালে কর্মচারী নেতারা সরকারের প্রতি আল্টিমেটাম দিয়ে জানিয়েছেন, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

একজন বিক্ষুব্ধ কর্মচারী নেতা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমানকে এই অধ্যাদেশ জারির ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, “আপনি যা করেছেন আজ বিকেল ৪টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে হবে। আপনারা উপদেষ্টা পরিষদকে ভুল বোঝাতে পেরেছেন, আমাদের ভুল বোঝাতে পারবেন না।”

এর আগে, গতকাল রোববার সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করে সরকার, যা কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। এই অধ্যাদেশে চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়া শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করার বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া, অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং এর বিরুদ্ধে আপিলের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে এর তীব্র বিরোধিতা করছেন।

সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর গতকালই জানিয়েছিলেন, সোমবার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে এবং সেখান থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। কর্মচারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

Leave a Reply

scroll to top