ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মধ্যে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জরুরি বৈঠকের আয়োজন করেছে। আগামী সোমবার (১৬ জুন) অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে এই বৈঠক শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, দেশটির একটি পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলা আইএইএ’র কাছে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানায়।
এরইমধ্যে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে। ইরানি সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানায়, রোববার (১৫ জুন) মধ্যরাতে চালানো এই হামলায় একটি ভবনে আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
উত্তেজনার মধ্যেই ইরানিদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের ফার্সি ভাষার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, সামরিক অস্ত্র উৎপাদন কারখানা ও সহায়ক স্থাপনাগুলোর আশপাশে যেন কেউ অবস্থান না করে। এমনকি এসব এলাকা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফাঁকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
আল জাজিরার আরেকটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইরানের পাল্টা হামলায় চাপে পড়েছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষ করে তাদের সুপরিচিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ প্রযুক্তি ‘আয়রন ডোম’ এখন আগের মতো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না।
দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের বিশ্লেষক মুহাম্মদ সেলুম বলেন, ‘আয়রন ডোম’ মূলত স্বল্পপাল্লার হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম। কিন্তু ইরান এখন ব্যালিস্টিক, ক্রুজ ও হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করছে, যা থামানো ‘আয়রন ডোম’-এর পক্ষে কঠিন। তবে ইসরায়েলের কাছে আরও উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে—‘অ্যারো ১’ ও ‘অ্যারো ৩’—যেগুলো উচ্চমাত্রায় প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে সক্ষম।