ঈদে ফিরতি যাত্রা: আজ বিক্রি হবে ১২ জুনের ট্রেন টিকিট

New-Project-12-1.jpg

আজ বিক্রি হবে ১২ জুনের ট্রেন টিকিট

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনযাত্রীদের চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদের পরে ঘরমুখো মানুষের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে বিশেষ পরিকল্পনায় অগ্রিম টিকিট বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই উদ্যোগের আওতায় ঈদের ছুটি শেষে ৭ দিন পর্যন্ত চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি করা হচ্ছে।

রেলওয়ের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, আজ (রবিবার, ২ জুন) বিক্রি হচ্ছে ১২ জুনের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনগুলোর জন্য এবং দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলগামী ট্রেনগুলোর জন্য।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদ-পরবর্তী যাত্রীচাপ সামাল দিতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের কাউন্টারে গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। তারা সহজেই মোবাইল অ্যাপ, ওয়েবসাইট অথবা অনুমোদিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টিকিট কিনতে পারছেন।

রেলওয়ের তথ্য অনুসারে, ঈদের পরের দিনগুলোর টিকিট বিক্রির সময়সূচি নিচের মতো:

  • ৯ জুনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩০ মে
  • ১০ জুনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩১ মে
  • ১১ জুনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ জুন
  • ১২ জুনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে আজ, ২ জুন
  • ১৩ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ৩ জুন
  • ১৪ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ৪ জুন
  • ১৫ জুনের টিকিট বিক্রি হবে ৫ জুন

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই বিশেষ ব্যবস্থায় বিক্রি হওয়া টিকিটগুলো রিফান্ডযোগ্য নয়। অর্থাৎ যাত্রীরা চাইলে এই টিকিট ফেরত দিতে পারবেন না। এতে করে টিকিট কালোবাজারি এবং কৃত্রিম সংকট তৈরির সুযোগ কমে যাবে বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ।

টিকিট কেনার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুনও কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি আসনের টিকিট একসঙ্গে কিনতে পারবেন। একাধিক টিকিট নেওয়ার সময় প্রতিটি সহযাত্রীর নাম বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হবে। এ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে প্রকৃত যাত্রীদের টিকিট পাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেন পরিচালনাসহ সার্বিক নিরাপত্তা, যাত্রীসেবা এবং সময়মতো ট্রেন চলাচলের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে এবারের ঈদে যাত্রীসেবায় আরও শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যেই এই অগ্রিম টিকিট ব্যবস্থার বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

Leave a Reply

scroll to top