ঈদের নামাজ দুই রাকাত এবং তা ওয়াজিব। এতে আজান ও ইকামতের প্রয়োজন হয় না। যাদের ওপর জুমার নামাজ ওয়াজিব, তাদের ওপর ঈদের নামাজও ওয়াজিব। ময়দানে ঈদের নামাজ পড়া উত্তম, তবে মক্কাবাসীর জন্য মসজিদে হারাম ও শহরের মসজিদগুলোতেও তা জায়েজ রয়েছে। (বুখারি ১/১৩১; ফাতাওয়া শামি ১/৫৫৫, ১/৫৫৭; আল মুহাজ্জাব ১/৩৮৮)
সূর্য উদিত হয়ে এক বর্শা (অর্ধ হাত) পরিমাণ উঁচু হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে দ্বিপ্রহর পর্যন্ত সময় পর্যন্ত ঈদের নামাজ আদায় করা যায়।ঈদুল ফিতরের ক্ষেত্রে নামাজ কিছুটা দেরিতে পড়া সুন্নত, যাতে নামাজের আগে বেশি সংখ্যায় সদকাতুল ফিতর আদায় হয়ে যায়। (ফাতহুল কাদির ২/৭৩, আল মুগনি ২/১১৭)
নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করার প্রয়োজন নেই; মনে মনে ঠিক করতে হবে যে, ইমামের পেছনে ঈদের দুই রাকাত নামাজ ছয় অতিরিক্ত তাকবিরসহ আদায় করছি।
ঈদের নামাজে মোট ছয় অতিরিক্ত তাকবির রয়েছে—
- প্রথম রাকাতে ‘তাকবিরে তাহরিমা’ ও ‘ছানা’র পর তিন তাকবির
- দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর, রুকুতে যাওয়ার আগে তিন তাকবির
তাকবিরের সময় ইমাম ও মুকতাদি সবাইকে হাত উঠাতে হবে, তবে তৃতীয় তাকবির ছাড়া প্রতি তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দিতে হবে।
যদি কেউ এসব তাকবির মিস করে, তবে রুকুতে থাকাকালীন আদায় করবে। কারো যদি একটি রাকাত ছুটে যায়, তাহলে দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর তাকবির আদায় করবে।
নামাজের পর ইমামের খুতবা প্রদান সুন্নত এবং তা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা নামাজিদের জন্য ওয়াজিব।(ফাতাওয়া শামি ১/৫৫৯, ৫৬০)
যদি কেউ কোনো কারণে ঈদের জামাতে শরিক হতে না পারে, তাহলে শহরের অন্য জামাতে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করবে। একান্তই না পারলে, এর কোনো কাজা নেই। তবে চার রাকাত এশরাকের নফল নামাজ আদায় করতে পারে, যেখানে ঈদের অতিরিক্ত তাকবির নেই। (ফাতাওয়া শামি ১/৫৬১)