সৌদি আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পটুয়াখালীর ৩৫টি গ্রামে আজ, শুক্রবার (৬ জুন) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। বদরপুর দরবার শরীফ এলাকাসহ এই গ্রামগুলোর সহস্রাধিক পরিবার বাংলাদেশের একদিন আগেই ঈদ উৎসব পালন করছেন।
যেসব গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপিত হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: পটুয়াখালী সদর উপজেলা: বদরপুর দরবার শরীফ এলাকা ও ছোটবিঘাইসহ ৪টি গ্রাম। গলাচিপা উপজেলা: সেনের হাওলা, গ্রামর্দন, নিজ হাওলাসহ ৫টি গ্রাম। বাউফল উপজেলা: মদনপুরা, শাপলাখালী, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙা, সুরদী, চন্দ্রপাড়া, দ্বি-পাশা, কনকদিয়া, সাবুপুরা, বামনিকাঠি, বানাজোড়া ও আমিরাবাদসহ ১৩টি গ্রাম।
এছাড়া, কলাপাড়া উপজেলা: দক্ষিণ দেবপুর, নাইয়াপট্টি, নিশানবাড়িয়া, মরিচবুনিয়া, শাফাখালী, তেগাছিয়া, ছোনখোলা ও বাদুরতলীসহ ১০টি গ্রাম। রাঙ্গাবালী উপজেলা: কাছিয়াবুনিয়া, নিজ হাওলা, আমলিবাড়িয়াসহ ৪টি গ্রাম।
সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত এই জামাতে ইমামতি করেন দরবার শরীফের মেজো হুজুর শাহ সাইয়্যেদ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী। এই জামাতে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
বরদরপুর দরবার শরীফের মেজো হুজুর শাহ সাইয়্যেদ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে, অর্থাৎ বিগত ৯৮ বছর ধরে এসব গ্রামে সৌদি আরবসহ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগাম রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান যে, এই মুসল্লিরা বদরপুর দরবার শরীফ, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও এলাহাবাদ পীরের অনুসারী। এই দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী রীতি মেনেই তারা বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঘোষণা করা তারিখের একদিন আগেই ঈদ পালন করছেন।