মধ্যপ্রাচ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) নির্ধারিত হবে কবে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। আজ ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলকদ মাসের ২৯তম দিন। এই দিন আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেলে আগামী ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) দেশ দুটিতে ঈদুল আজহা পালিত হবে। আর হজের গুরুত্বপূর্ণ দিন— আরাফা পালিত হবে ৫ জুন (বুধবার)।
প্রতিদিনের মতো আজও সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নিয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশ দুটির ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ জনগণকে আজ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে খালিজ টাইমস, মিডলইস্ট ইকোনমি এবং আল আরাবিয়াসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পৃথক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কেউ খালি চোখে বা দূরবীনের সাহায্যে চাঁদ দেখতে পারলে তা নিকটস্থ আদালত বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে। চাঁদ দেখা গেলে তা ১৪৪৬ হিজরি সনের শেষ মাস জিলহজের সূচনার ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে। এর ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে হজ ও ঈদুল আজহার সময়সূচি।
এছাড়া সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, চাঁদ দেখা গেলে ঈদ উদযাপিত হবে ৬ জুন এবং হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা— আরাফাতের দিন পড়বে ৫ জুন। ওই দিন আরাফাতের ময়দান মুখরিত হয়ে উঠবে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে।
আরব আমিরাতেও চাঁদ দেখার বৈঠক আজ
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাতওয়া কাউন্সিলও চাঁদ দেখার জন্য আজ সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে। আবুধাবির শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চাঁদের অবস্থান, জন্ম ও মহাকাশীয় সংযোগ বিশ্লেষণ করবেন। এ লক্ষ্যে জাতীয় পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তিও ব্যবহৃত হবে।
উল্লেখ্য, সাধারণত সৌদি আরবে ঈদ উদযাপনের পরদিন বাংলাদেশসহ অনেক এশীয় দেশ ঈদুল আজহা পালন করে থাকে। তাই বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ জানা যাবে আগামীকাল বুধবার চাঁদ দেখার পর।
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা কোরবানি, নামাজ এবং দান-খয়রাতের মাধ্যমে পালন করা হয়। ঈদটি হজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং ইসলামের অন্যতম মূলনীতি আত্মত্যাগ, ধৈর্য ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।