সাংবাদিকের উপর হামলায় ইবি ছাত্রদল-এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

New-Project-12-9.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ ইবি প্রতিনিধি :

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক হলের সিটে থাকাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ইবি প্রতিনিধি ওয়াসিফ আল আবরারের ওপর হামলা চালনোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাখা সমন্বয়কদের একটি অংশের বিরুদ্ধেে। এ ঘটনায় (সাংবাদিক)আবরারকে রক্ষা করতে গিয়ে লাঞ্ছিত ও আহত হয়েছেন সমন্বয়কদের অপর অংশের সদস্য ও দুই সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের দেশীয় ব্লকের ৪০৫ নং কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়,গত ২৯ এপ্রিল দিবাগত রাত এ. শাহ আজিজুর রহমান হলের ৪০৫ নম্বর কক্ষে অতিথি হিসেবে অবস্থান করছিলেন সাংবাদিক আবরার। এ সময় ৮-১০ জন শিবিরের কর্মী তার কক্ষে যেয়ে সে কেন ওই কক্ষে অবস্থান করছে তা জেরা করতে শুরু করে। কথাবার্তার একপর্যায়ে আবরার ছাত্রলীগ করে এমন অভিযোগ তুলে তাকে হল থেকে নেমে যেতে বলে তারা। সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহারের সময় আবরার ফোন বের করে তাদের ভিডিও ধারণ করে। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ভিডিও চলাকালেই তারা রুমে ঢুকে লাইট বন্ধ করে ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং মারধর করে।

ভুক্তভোগী আবরার বলেন, রমজান মাসে ছাত্রশিবিরের ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক জাকারিয়া আমাকে দু’দফায় ফোন দিয়ে থ্রেট দেয়। আমাকে বলে, ক্যাম্পাসে যেন বেশি ঘুরাঘুরি না করি; যার রেকর্ড এখনও আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। আমাকে বলা হয় ছাত্রলীগের দোসর; অথচ জুলাই অভ্যুত্থানে আমার ভূমিকা কেমন ছিল সেটা সবাই জানে। তিনি আরও বলেন,আমি শহীদ জিয়াউর রহমান হলের বৈধ সিটধারী হলেও নানা অজুহাতে আমাকে সেখানে থাকতে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি আমি রমজানের মধ্যে জিয়া হলের প্রভোস্ট, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর এবং ভিসি স্যারকে জানালেও দেড় মাসে তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।

আবাসন সংকটে বাধ্য হয়ে আমি শাহ আজিজ হলের ৪০৫ নং রুমে কাছের বড় ভাই বাড়িতে থাকায় তার বেডে অবস্থান করছিলাম। গভীররাতে আচমকা কয়েকজন দরজা নক করতে থাকে এবং পরবর্তীতে আমাকে মারধর করে। আমি তখনি হল থেকে চলে যেতে চাইলেও নাহিদ ভাইরা আসায় তারা আবারো আমার উপর চড়াও হয়। চতুর্দিকের টানাহেঁচড়ায় আমার গলায় ফাস লেগে দম আটকে যায়।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়( ইবি) ছাত্রদল এর আহবায়ক মোঃ সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মোঃ মাসুদ রুমী মিথুন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে তাদের ফেইসবুক পেইজে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন।

Leave a Reply

scroll to top