ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)–এর ৫৭তম গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার। রাজধানীর কার্জন হল সংলগ্ন আইবিএ মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন সদ্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা, তাদের অভিভাবক, শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিএ’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক শাকিল হুদা। গ্র্যাজুয়েশন স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইবিএ’র অধ্যাপক ড. শাকিলা ইয়াসমিন।
উপাচার্যের বক্তব্য
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান আইবিএ গ্র্যাজুয়েটদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “সমাজ, পরিবার, পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। মেধা ও দক্ষতা দিয়ে পেশাগত জীবনে খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি আত্মমর্যাদা ও ব্যক্তিত্ব অটুট রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আইবিএ দক্ষ ও মানসম্পন্ন বিজনেস গ্র্যাজুয়েট তৈরির এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। জাতির প্রত্যাশা পূরণে এখানকার গ্র্যাজুয়েটদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইবিএর প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান ও বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ড. শারমিন রহমান। তারা বলেন, “আজকের দিনটি শুধু সনদ গ্রহণের দিন নয়, এটি একটি নতুন যাত্রার সূচনা। আইবিএ থেকে অর্জিত শিক্ষা, নৈতিকতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী নিয়ে তোমরা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে—এই প্রত্যাশা আমাদের।”
অনুষ্ঠানে বিএবিএ, এমবিএ, এক্সিকিউটিভ এমবিএ, এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের সর্বমোট প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন সনদ প্রদান করা হয়। সেরা ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও স্বর্ণপদক তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে নতুন গ্র্যাজুয়েটদের মুখে ছিল উচ্ছ্বাস, আর অভিভাবকদের চোখে আনন্দাশ্রু। প্রাণবন্ত পরিবেশে সমাপ্ত হয় এবারের আইবিএ গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান। িআইবিএ থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া শিক্ষার্থী মেহজাবীন রহমান বলেন, “এই দিনটার জন্য আমরা চার বছর অপেক্ষা করেছি। আজ মনে হচ্ছে পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। সামনে করপোরেট জগতে পা রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তবে দেশের জন্য কিছু করার তাগিদও সব সময়ই থাকবে।”
আরেক গ্র্যাজুয়েট তানভীর হোসেন বলেন, “আইবিএ আমাকে শুধু একাডেমিক শিক্ষা নয়, নেতৃত্ব আর সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও দিয়েছে। আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সময়।”
অনুষ্ঠানে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ এবং অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া। সবশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে আয়োজনটি শেষ হয়।