১৩ দিন ধরে ভোগান্তিতে নগরবাসী

ইশরাককে মেয়র ঘোষণার দাবিতে ফের অচল ডিএসসিসি

New-Project-65.png

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে এক নজিরবিহীন অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গত ১৪ মে থেকে শুরু হওয়া ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে চলমান বিক্ষোভের কারণে নগর ভবনের কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। টানা ১৩ দিন ধরে এই পরিস্থিতি চলায় নাগরিক সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ নগরবাসী।

আজ সোমবারও (২৬ মে) সকাল থেকে নগর ভবনের সামনে ইশরাক হোসেনের সমর্থক এবং সিটি করপোরেশনের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের একাংশ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে ‘মেয়র ছাড়া অফিস নেই’, ‘টালবাহানা চলবে না, ইশরাককেই চাই’—এমন সব স্লোগান।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করছেন, নানা অজুহাতে মেয়র পদ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে, যা তারা মানতে নারাজ। তাদের দাবি, জনগণের ভোটে নির্বাচিত ইশরাক হোসেনকে দ্রুত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে।

এই অচলাবস্থার বিষয়ে ডিএসসিসি’র শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, “ইশরাকের প্রতি কর্মচারীদের একটা ভালোবাসা আছে। তাঁকে যত দিন পর্যন্ত শপথ না পড়াবে তত দিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। নির্বাচিত মেয়র ছাড়া সিটি করপোরেশনে কোনো কাজ হচ্ছে না।”

জানা গেছে, এই অচলাবস্থার কারণে করপোরেশনের দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রশাসন উদ্বিগ্ন হলেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। একজন কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আলোচনা চলছে।

এদিকে, নগর ভবনের প্রবেশপথ আটকে অবস্থান নেওয়ায় দৈনন্দিন জরুরি সেবা নিতে আসা নগরবাসী ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন। বংশাল এলাকার বাসিন্দা সুমন হাসান জানান, জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য এসেও অফিস বন্ধ থাকায় তাকে ফিরে যেতে হয়েছে। কবে কাজ হবে, সে বিষয়েও কেউ কিছু বলতে পারছে না।

একইভাবে, রাশিদা বেগম নামের আরেক ভুক্তভোগী গত তিন দিন ধরে ছেলের দোকানের ট্রেড লাইসেন্সের কাগজপত্র জমা দিতে এসেও গেট বন্ধ পেয়েছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “জানি না এই সমস্যার কবে সমাধান হবে।”

সাধারণ নগরবাসী দ্রুত এই অচলাবস্থার অবসান চান। তারা বলছেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বলি হয়ে যেন সাধারণ মানুষের মৌলিক সেবা বন্ধ না হয়। এই পরিস্থিতি কতদিন চলবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও, দ্রুত এর একটি কার্যকর সমাধানই প্রত্যাশা করছেন সবাই।

Leave a Reply

scroll to top