ড. ইউনূসের সঙ্গে এয়ারবাসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ

New-Project-2025-06-10T194342.370.png
নিজস্ব প্রতিবেদক

লন্ডন সফরে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) দেশটির এয়ারবাস এবং মেনজিস এভিয়েশন-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার ইঙ্গিত বহন করে।

লন্ডনের স্থানীয় একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এয়ারবাসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট উওটার ভ্যান ভার্স। একই দিনে, মেনজিস এভিয়েশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ওয়াইলিও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকগুলো বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন শিল্পে সম্ভাব্য নতুন বিনিয়োগ এবং সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ড. ইউনূসের লন্ডন সফর কেবল ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্রিক নয়, এর রয়েছে কূটনৈতিক ও সম্মাননা লাভের উদ্দেশ্যও। এদিন দুপুর ২টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিকেল ৫টায় তিনি কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া জ্যানেট স্কটল্যান্ডের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এসব বৈঠক আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন।

জানা গেছে, এই সফরে ড. ইউনূসকে মর্যাদাপূর্ণ ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হবে। এটি তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং বৈশ্বিক অঙ্গনে তার প্রভাবের আরও একটি নিদর্শন।

এছাড়া, এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করা এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে তোলার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার এই গুরুত্বপূর্ণ সফরে তার সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।

এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সফরের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ইঙ্গিত দিচ্ছে যে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সমন্বিত কৌশল অনুসরণ করছে। এই সফরের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

scroll to top