এবার মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণ দেবে ডিএনসিসি

New-Project-20-4.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণ দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)। একইসঙ্গে ধর্মীয় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির পশু জবাইয়ের ব্যাপারে ইমামদেরও প্রশিক্ষণা দেবে ডিএনসিসি। আজ সোমবার (১৯) ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী এ কথা জানান।

যে কারণে দেওয়া হবে এই প্রশিক্ষণ

কোরবানির মৌসুমে পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতের প্রতিটি ধাপেই মান বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় অনুশাসন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে এবার ইমাম, কসাই এবং সংশ্লিষ্টদের বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা জানতে পারবেন- কীভাবে পশু জবাই করতে হবে, কীভাবে চামড়া সংরক্ষণ করতে হবে এবং কীভাবে মাংস প্রক্রিয়াকরণে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা যায়।

এই প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পশুর চামড়া সংরক্ষণের ওপর। কারণ, গরুর চামড়া দেশের অন্যতম রপ্তানিযোগ্য পণ্য। বছরে যত পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়, তার একটি বৃহৎ অংশই আসে ঈদুল আজহার সময় কোরবানীকৃত পশু থেকে। তাই এই সময় সঠিক পদ্ধতিতে চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা গেলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা সম্ভব।

তবে সংশ্লিষ্ট ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানোর সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকায় এর গুণগত মান বজায় থাকে না এবং রপ্তানিযোগ্যতা হারায়।

ডিএনসিসির প্রধান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও জানান, এসব বিষয় মাথায় রেখে এ বছর ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই প্রশাসকের নির্দেশে ইমাম ও মাংস প্রস্তুতকারীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া, ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের নির্দেশে এ বছর ডিএনসিসির আওয়াধীন প্রতিটি পশুর হাটে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম থাকবে এবং তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

এবছর কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এলাকাভিত্তিক নির্ধারিত স্থান, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জোর দিচ্ছে প্রশাসন। পবিত্র ঈদুল আজহার সময় কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এলাকাভিত্তিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে কোরবানি দেওয়ার নির্দিষ্ট স্থান। এই স্থানগুলোতে কোরবানি দিতে এলাকাবাসীকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, যাতে নির্ধারিত জায়গায় পশু জবাইয়ের মাধ্যমে বর্জ্য দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে অপসারণ করা সম্ভব হয়।

এই ব্যবস্থার ফলে যেমন জনস্বাস্থ্য রক্ষা পাবে, তেমনি শহরের পরিবেশ থাকবে পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত। এক জায়গায় নিয়ন্ত্রিতভাবে কোরবানি হলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্যও কাজটি হবে সহজ ও সময় সাশ্রয়ী।

জনসচেতনতা বাড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ উদ্যোগ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে কোরবানির সময় শহরে আর দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা রাস্তাঘাট কিংবা বর্জ্যে ভরা ড্রেন দেখা যাবে না।

Leave a Reply

scroll to top