দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের জেলার বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। আজও (রোববার) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো ঢাকা ও তার আশপাশের জেলাগুলোতে তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে।
আজও রাজধানীতে থাকবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তাপমাত্রা আরও বেশি—৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় তাপমাত্রা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও ঢাকা ও এর আশপাশে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তাপমাত্রা আরও বেশি—৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার পূর্বাভাস রয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় গরমের প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। বাতাস বইছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিতে।
আবহাওয়া অধিদফতরের খবর
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। শহরজুড়ে গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গতকাল (শুক্রবার) ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাস ছিল তুলনামূলকভাবে শান্ত। বৃষ্টিপাতের কোনো নজির ছিল না, এবং সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত রোদের তীব্রতা ছিল অপরিবর্তিত।
চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং আবহাওয়াবিদদের মতে, এই প্রবণতা আগামী দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু অঞ্চলে হালকা বা মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা আপাতত নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই ধরনের আবহাওয়ায় হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন ও তাপজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের পর্যাপ্ত পানি পান, ছায়াযুক্ত স্থানে অবস্থান এবং ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরামর্শ:
- সরাসরি রোদে না যাওয়ার চেষ্টা করুন
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন
- ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন
- পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাপদাহজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।