স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন তারা। তবে যাত্রপথেই সেই আনন্দে নেমে আসে বিষাদ। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা হলো না আর। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের বাবা ও তার দুই ছেলে নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৯টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে দ্রুতগতির মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার কামারচর এলাকার ৬৫ বছর বয়সী আমজাদ হোসেন এবং তার দুই ছেলে রাহাত (২৬) ও অতুল (১৪)।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- নিহত আমজাদ হোসেনের স্ত্রী মাকসুদা (৬০), নিহত রাহাতের স্ত্রী মরিয়ম (২৫) এবং বরিশাল জেলার হযরত আলীর ছেলে নাজমুল (৪০)। তারা সবাই একই মাইক্রোবাসে ঢাকা থেকে শেরপুরের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছিলেন।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, ঢাকা থেকে শেরপুরের বাড়িতে ঈদ করতে যাওয়ার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসটি সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আমজাদ হোসেন এবং তার দুই ছেলে রাহাত ও অতুল মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঈদের আগে মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ এবং চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছে। পরিবারের তিন সদস্যের এমন আকস্মিক মৃত্যু ঈদ আনন্দের বদলে স্বজনদের জীবনে নিয়ে এসেছে এক গভীর শোকের ছায়া। কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা এড়ানো যায়।