বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের আয়োজনে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ আজ বুধবার রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিশাল জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই সমাবেশ এখন কানায় কানায় পূর্ণ। সমাবেশ থেকে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।
এদিন সকাল ১০টা থেকেই ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনের দিকে আসতে শুরু করেন। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন ব্যানার, টি-শার্ট এবং মাথায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা।
‘তারুণ্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ স্লোগানে মুখরিত এসব মিছিলের ঢেউ মুহূর্তেই নয়াপল্টনকে জনসমুদ্রে পরিণত করে। সিলেট, ফরিদপুর এবং ময়মনসিংহ থেকেও আসা নেতাকর্মীরা আশেপাশে জড়ো হয়ে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
সমাবেশের জন্য নয়াপল্টনে এরই মধ্যে সুসজ্জিত মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। পুরো নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায় মাইক টানানো হয়েছে, যা নেতাকর্মীদের স্লোগান এবং বক্তাদের কণ্ঠস্বর ছড়িয়ে দিচ্ছে। বেলা ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তার অনেক আগে থেকেই নয়াপল্টন এলাকায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল সমাবেশে যোগ দিয়েছে। তিনি বলেন, “ছাত্র-যুবকরাও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ, এই সমাবেশ তারই প্রমাণ।”
বিএনপির এই তিন সংগঠন মে মাসজুড়ে তারুণ্যকে দলের প্রতি আকৃষ্ট করতে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। এর অংশ হিসেবে তিনটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে মোট ছয় দিনের সেমিনার ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বগুড়ায় সফলভাবে সেমিনার ও সমাবেশ আয়োজনের পর গতকাল ঢাকায় সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় এবং আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই বৃহৎ সমাবেশ।
এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। সমাবেশস্থলে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।