এবারের ঈদুল আজহায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা থেকে মোট ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৬টি কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সংগৃহীত চামড়াগুলো সরকারের সরবরাহকৃত বিনামূল্যে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রোল রুমে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, সংগৃহীত চামড়ার মধ্যে গরু ও মহিষের চামড়া রয়েছে ৭ লাখ ৪৫৪টি এবং ছাগলের চামড়ার সংখ্যা ৭৪ হাজার ৩০২টি। সোমবার (৯ জুন) সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় চামড়া সংগ্রহের তালিকা- চট্টগ্রামে সংগ্রহ করা হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ১০০টি চামড়া, কক্সবাজারে ৩৭ হাজার ৮৮৯টি, নোয়াখালীতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৩১টি ও চাঁদপুর থেকে ২৩ হাজার ৬৫টি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৯ হাজার ৭৩১টি, খাগড়াছড়িতে ৫ হাজার ৮৪৯টি, লক্ষ্মীপুরে ১১ হাজার ৮৩৭টি, ফেনীতে ১৩ হাজার ৫০৯টি, রাঙ্গামাটিতে ২ হাজার ৮৪৮টি, বান্দরবানে ২ হাজার ২৯৯টি ও কুমিল্লা জেলা থেকে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৮৫টি চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে।
জানা যায়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের নিবিড় তদারকিতে এই বিশাল সংখ্যক চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
এবছর কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে এবং এতিমদের হক আদায়ের উদ্দেশ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। দেশের বিভিন্ন এতিমখানা, মসজিদ ও মাদরাসাগুলোতে ৩০ হাজার টন লবণ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছিল।
ফলে স্থানীয়ভাবে চামড়াগুলো দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে, যা ট্যানারি মালিকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের কারণে চামড়া সংরক্ষণে কৃষকদের খরচ কমেছে এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এই সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে চামড়ার বাজার স্থিতিশীল থাকবে এবং প্রান্তিক পর্যায়ের চামড়া সংগ্রহকারীরাও উপকৃত হবেন।