যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

New-Project-11-4.jpg
মুহাম্মদ নূরে আলম নিজস্ব প্রতিবেদক

চার দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৪ জুন) সকাল পৌনে ১০টায় তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছায়। সফরটি ছিল কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য সাক্ষাতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং রাজনৈতিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মঞ্চও বটে।

এই সফরে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক। বৈঠক শেষে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকটি হয়েছে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে।
সেখানে তারেক রহমানের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ড. ইউনূস বলেছেন, যদি প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচারিক অগ্রগতি অর্জিত হয়, তবে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। এই মন্তব্য অনেক বিশ্লেষকের চোখে ভবিষ্যৎ নির্বাচনের একটি অনানুষ্ঠানিক টাইমলাইন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অর্থ পাচার ইস্যুতে অগ্রগতি

প্রধান উপদেষ্টার সফরের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল অর্থ পুনরুদ্ধার। তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ যুক্তরাজ্যে গেছে।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে সাবেকভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের যুক্তরাজ্যস্থ সম্পদ জব্দ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।”

এই সফরেই ড. ইউনূস গ্রহণ করেন কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫, যা তাকে প্রদান করা হয় সারাজীবন মানবকল্যাণে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ। এই সম্মাননা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রভাব তুলে ধরে।

প্রধান উপদেষ্টার এই সফর কেবল একটি কূটনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। বরং এটি ভবিষ্যৎ নির্বাচনী সময়সূচির একটি সম্ভাব্য ইঙ্গিত, রাজনৈতিক সমঝোতার সূচনা এবং রাষ্ট্রীয় অর্থ ফেরত আনার উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, এই আলোচনার ভিত্তিতে দেশে কী ধরনের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অগ্রগতি হয় এবং ২০২৬ সালের নির্বাচনের পথে বাংলাদেশ কতটা এগোতে পারে।

মুহাম্মদ নূরে আলম

মুহাম্মদ নূরে আলম

মুহাম্মদ নূরে আলম (Muhammad Noora Alam) একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক ও কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ, যিনি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রিন্ট, অনলাইন এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজ করে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

scroll to top