যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

New-Project-2025-06-09T200850.798.png
নিজস্ব প্রতিবেদক

চারদিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টাকে মর্যাদাপূর্ণ ‘কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হবে। এই সফরটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ককে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন।

এর আগে, গত বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই সফরের বিস্তারিত তথ্য জানান। তিনি বলেন, আসন্ন সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারের বিষয়েও এই সফরে আলোচনা হবে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত বুধবার এক ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এই সফরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন।

এই সফরে অধ্যাপক ইউনূস ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর বাইরেও বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।

লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা তার যে কর্মসূচি উল্লেখ করেছেন, সে অনুযায়ী এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।”

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীরতা রয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দেশটির বৃহত্তম প্রবাসী জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল।

Leave a Reply

scroll to top