প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২ জুন বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ তথ্য শনিবার (৩১ মে) রাজধানীতে কৃষকদলের এক আলোচনা সভায় জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে কলঙ্কিত করে। তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদের কুটচালে জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও এর পেছনে আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও কাজের কাজ কিছুই নেই। তিনি সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ তুলে বলেন, জনগণের দাবি ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন। ডিসেম্বরের পর নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। তিনি দাবি করেন, যদি কোনো যুক্তি থাকে, তবে সরকার তা প্রকাশ করুক।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিদের মধ্যে ফাটল ধরাতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়। একটি গোষ্ঠী ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বা ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের জন্য ঐক্য ভাঙার চেষ্টা করছে। সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি মনে করেন।
বিএনপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, নির্বাসন, নির্যাতন ও কারাবাসের মধ্য দিয়ে ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনকারীদের দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তিনি এই অপপ্রচারের নিন্দা জানান এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই প্রেক্ষাপটে, বিএনপির পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। তবে, সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, দলটি সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণের বিরুদ্ধে এবং দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে তাদের অবস্থান বজায় রেখেছে।