দুই বছর পর আবারও ঢাকার বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি (CCT) ২০২৫, যা চলবে ৩ মে পর্যন্ত। ব্যাট-বল হাতে নিয়ে মাঠে নামছেন দেশের শোবিজ তারকারা। তবে এবার আর সিসিএল নয়, বদলে যাচ্ছে আসরের নাম। চারটি দলের অংশগ্রহণে আগামী ৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে ‘সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি’ বা সিসিটি। আগেরবারের টুর্নামেন্টটির আয়োজন ইনডোরে হলেও এবার হতে যাচ্ছে উন্মুক্ত মাঠে। এই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বিনোদন জগতের জনপ্রিয় তারকারা অংশ নিচ্ছেন, যা দর্শকদের জন্য এক ব্যতিক্রমী আনন্দের উৎস।
আগের মতো ৬ ওভারে নয়, টি২০ ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে এই আসরের ম্যাচগুলো। সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫-এ অংশগ্রহণকারী দলগুলো: ঢাকা ডায়নামাইটস, চট্টগ্রাম চ্যাম্পিয়নস, রাজশাহী রয়্যালস, সিলেট স্টারস, খুলনা কিংস, বরিশাল ব্যাটালিয়ন, রংপুর রেঞ্জার্স, ময়মনসিংহ মিরাকলস। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭টি। টুর্নামেন্টটি সম্প্রচার করবে মিডিয়া পার্টনার টি-স্পোর্টস।
১ মে অনুষ্ঠিত ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের নাম ঘোষণা করা হয়। এই টুর্নামেন্টে টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও সংগীত জগতের তারকারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতা করছেন, যা ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ট্রফি উন্মোচন করেন জনপ্রিয় চার নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ, প্রবীর রায় চৌধুরী, গীয়াস উদ্দিন সেলিম ও তানিম রহমান অংশু।
প্র্যাকটিসে অংশ নিচ্ছেন শোবিজ তারকারা
জানা গেছে, এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন জনপ্রিয় সিয়াম আহমেদ, মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, শরিফুল রাজ, তাসনিয়া ফারিণ, ইরফান সাজ্জাদ, তৌসিফ মাহবুব, দীপা খন্দকার, কেয়া পায়েল, সালহা খানম নাদিয়া, জিয়াউল রোশান, জয় চৌধুরী, সাঞ্জু জন, সায়রা আক্তার, বন্নি হাসান, সংগীতশিল্পী আরফিন রুমি, জাকিয়া সুলতানা কর্নিয়া, নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, মোস্তফা কামাল রাজ, তানিম রহমান অংশু এবং প্রবীর রায় চৌধুরীসহ অনেক তারকারাই।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালে সর্বশেষ আয়োজন করা হয়েছিল ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট লীগ’ (সিসিএল) এর আসর। মাঝে নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে বন্ধ হয়ে যায় টুর্নামেন্টটি। তবে দুই বছর পর ফের মাঠে গড়াচ্ছে ব্যট-বল। তবে এই আসরটি এবার শুরু হচ্ছে একদম নতুন ফরম্যাটে।
এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তারকারা কেবলমাত্র ক্রিকেট খেলছেন না, বরং সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছেন। টুর্নামেন্টের আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছানো এবং তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য।