দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ধারা ১০ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডকে এই স্বীকৃতিসনদ পাঠানো হয়েছে।
২০০১ সালে স্যার ফজলে হাসান আবেদের হাতে যাত্রা শুরু করা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শুরুতে মাত্র তিনটি বিভাগ ও ৮০ শিক্ষার্থী নিয়ে কার্যক্রম চালু করেছিল। বর্তমানে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্থায়ী স্বীকৃতি পেতে অবশ্যই নিজস্ব জমি নিশ্চিতসহ ১২ বছরের মধ্যে সকল শর্ত পূরণ করতে হয়। দেশের ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র কয়েকটি এই শর্তাবলি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই নিয়মকানুন মানছে না, ফলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই স্বীকৃতিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, “এটি আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত। স্যার আবেদের স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
উল্লেখ্য, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে দেশ-বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে। স্থায়ী স্বীকৃতি পাওয়ায় এখন আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আরও গতিশীল হবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম।