বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বিএনপির নয়; এটি দেশের জনগণ, নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়।
তিনি শুক্রবার (৯ মে) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন।
ড. আবদুল মঈন খান জানান, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আগামী নির্বাচনে তারা কীভাবে অংশ নেবে, সে বিষয়েও কথা হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন হওয়া উচিত।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আপনি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে কি আসবে না, তাদেরকে গ্রহণ করা হবে কি না, তাদের নিষিদ্ধ করা হবে কি হবে না। এই প্রশ্নের উত্তর বিএনপির পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।”
এটি একটি বৃহত্তর প্রক্রিয়া, যেখানে জনগণ, নির্বাচন কমিশন ও সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই বক্তব্যের মূল বার্তা হচ্ছে—বিএনপি এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ভবিষ্যৎ বা বৈধতা নিয়ে কোনও একক সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এটি একটি রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। মঈন খান বলেন, এটা নিয়ে আমাদের দলের মহাসচিব বলেছেন- ‘এটা জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয়। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে আর কারা করবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, তারা কি আসলে নির্বাচন, গণতন্ত্র চায়? গত ৯ মাসে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কি বলেছে- গত ১৫ বছর তারা মানুষের ওপর ফ্যাসিস্ট কায়দায় জলুম করেছে, লুটপাট করেছে, দেশকে তছনছ করে দিয়েছে, তারা ভুল করেছে, দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা স্বীকার করে নিচ্ছে। এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র দ্য কার্টার সেন্টার নামে একটি সংগঠনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে আলোচনা বিষয়বস্তু সম্পর্কে মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে তারা হয়ত বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতেও আসতে পারে।
মঈন খান বলেন, এরশাদের পতনের পর এখনকার অন্তর্বর্তী সরকারের মতো একটি সরকার গঠন করা হয়েছিল। সেই সময়কার সরকার তিন মাসের মধ্যে দেশবাসীকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়েছিল। আজকে সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো সমালোচনা করে না। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে গেলে তার জন্য অনির্দিষ্ট সময় পিছিয়ে নিতে হবে তার কোনো যুক্তিযুক্ততা নেই।