শহীদ নুরুল ইসলামের নামে বিজিবির সুইমিং কমপ্লেক্সের নামকরণ

New-Project-14-9.jpg

BGB swimming complex named after martyr Nurul Islam

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

২০০৯ সালের পিলখানা বিদ্রোহে অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)- সুইমিং কমপ্লেক্সের নাম শহীদ কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের নামে নামকরণ করা হয়েছে। এখন থেকে স্থাপনাটি ‘শহীদ নুরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্স’ নামে পরিচিত হবে।

শহীদ নুরুল ইসলামের ছেলে মো. আশরাফুল আলম হান্নান এই স্বীকৃতি প্রদানের জন্য বিজিবির মহাপরিচালক এবং সমগ্র বিজিবি বাহিনীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সম্মাননা যেকোনো বাহিনীর সদস্যকে দেশপ্রেমে আরও উদ্বুদ্ধ করবে।’

বিদ্রোহের সময় অন্যান্য অনেকে যখন জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছিলেন, তখন সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম সশস্ত্র বিদ্রোহী জওয়ানদের প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছিলেন। বিদ্রোহীদের বাধা দেওয়ায় তাকে মশারি স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়ে ও ব্রাশফায়ার করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।

স্মৃতিচারণ করে আশরাফুল আলম হান্নান জানান, তার পিতা ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে পিলখানায় দরবারে যোগ দেওয়ার জন্য সকালে নাস্তা না করেই বাসা থেকে বেরিয়ে যান। বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পর তার সাহসী পদক্ষেপ বহু সেনা কর্মকর্তার জীবন রক্ষা করতে সহায়ক ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত অন্যান্যের মতো তার বাবার মরদেহ গণকবর থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরে ওই বছরের ৪ মার্চ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের বাড়িতে তার বাবার মরদেহ দাফন করা হয়। পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে নুরুল ইসলামের এ বীরত্বের কথা।

হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর একমাত্র বিডিআর সদস্য কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের মর্যাদা পান। ২০০৯ সালের ২০ আগস্ট নুরুল ইসলামের কবরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয় এবং পরবর্তীতে বিজিবির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ ভূষিত হন।

আশরাফুল আলম হান্নান বলেন, নিষ্ঠাবান এ সুবেদার মেজর কর্মজীবনে চারবার ডিজি পদক পেয়েছেন। পাশাপাশি অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে সরকারি খরচে পবিত্র হজ্জ পালনের সুযোগ দিয়েছিলেন।

Leave a Reply

scroll to top