চীনে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম, ইলিশও রপ্তানির আশা

New-Project-69.png

চীনে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটিয়ে আগামী ২৮ মে (বুধবার) বাংলাদেশের সুস্বাদু আমের প্রথম চালান চীনের উদ্দেশে রপ্তানি হতে যাচ্ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিআইপি গেটে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক যাত্রার সূচনা হবে। এ সময় উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এই পদক্ষেপ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, শুধু আম নয়, বাংলাদেশের আরও দুটি জনপ্রিয় ফল – কাঁঠাল ও পেয়ারা – চীনে রপ্তানির কার্যক্রমও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই উদ্যোগ দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ফলের সুনাম বৃদ্ধি করবে।

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের ইলিশ মাছের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, “আমরা প্রত্যাশা করছি খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানিও শুরু হবে। চীনের ভোজনরসিকরা এই সুস্বাদু মাছ তাদের খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।” এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের মৎস্য শিল্পের জন্য এক বিশাল সুযোগ এনে দেবে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এবং বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগামী ৩১ মে চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও ঢাকায় আসছেন। তার এই সফরে ১০০ জনেরও বেশি চীনা বিনিয়োগকারী নেতৃত্ব দেবেন, যা বাংলাদেশের বিনিয়োগ খাতে এক বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করবে।

দুই দিনের সফরে মন্ত্রী ওয়েনতাও তার অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত এই প্রতিনিধিদলকে “চীন থেকে বাংলাদেশে আসা সর্ববৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল” হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এই সফর “উন্মুক্ততা, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সুবিধার একটি জোরালো বার্তা” দেবে।

এই রপ্তানি উদ্যোগ এবং উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফর নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে, যা উভয় দেশের জন্যই কল্যাণকর হবে।

Leave a Reply

scroll to top