বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ উদযাপন উপলক্ষে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( ইবি) অন্যতম আত্মোন্নয়নমূলক সংগঠন “সপ্নবিতান-ইবি পরিসর” এর উদ্যেগে দুই দিন ব্যাপি “বৈশাখীয়ানা-১৪৩২” উৎসব আয়োজন করা হয়েছে।
বাঙালির গ্রামীণ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পরস্পরা ফুটিয়ে তুলতে “বৈশাখে বর্ণে, সুরে, স্বাদে–উৎসব হোক হৃদয়জুড়ে” স্লোগান সামনে রেখে ৭ ও ৮ বৈশাখ (২০ ও ২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বটতলায় এ উৎসব আয়োজিত হয়। এ বৈশাখী মেলায় রয়েছে মোট ২২টি উদ্যোক্তা, যার মধ্যে ২০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁদের স্টলে রয়েছে নানা রকম পণ্য ও খাবারের আয়োজন, যা স্থানীয় গ্রামীণ ঐতিহ্য ও কৃষ্টির প্রতিফলন।
অনুষ্ঠানের আজকের প্রথম দিনে বৈশাখীয় মেলায় আয়োজন করা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী নাগরদোলা, চড়কি, দোলনা, পুতুলনাচ, পল্লীগীতি ও বাউল গানসহ নানা লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বিনোদনের পাশাপাশি ছিল স্থানীয় উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে হস্তশিল্প, মৃৎশি ল্প, ঘরোয়া পিঠাপুলি, পান্তাভাত, দই-চিঁড়া এবং হারিয়ে যাওয়া নানা গ্রামীণ খাবারের আয়োজন।
এই উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা মেলায় ঘুরে ঘুরে উপভোগ করেছেন বিভিন্ন স্টল, লোকজ পণ্য ও খাবারের স্বাদ। গান, চড়কি, নাগরদোলাসহ বৈশাখী আয়োজনগুলো। তারা বলছেন, ক্যাম্পাসে এই ধরনের আয়োজন প্রতিদিনের ক্লাস-পরীক্ষার একঘেয়েমি কাটাতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এ ধরনের আয়োজন বাঙ্গালীদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
স্বপ্নবিতান ইবি পরিসরের আহবায়ক আরিফা ইসলাম ভাবনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকেই শহরে বড় হয়েছি। গ্রামীণ হালখাতা গুলো কেমন হয়, কি কি আয়োজন থাকে, আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি কেমন হতে পারে তা অনেকেরই অজানা। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের বাঙ্গালীর ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন আমাদের খুবই সহযোগিতা করেছে। যেহেতু এটা আমাদের প্রথমবারের মতো আয়োজন, ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি হতে পারে। আশাকরি সামনে আরও সুন্দরভাবে গুছিয়ে এধরনের উৎসব আয়োজন করতে পারবো।