সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ জারি: জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় নতুন পদক্ষেপ

New-Project-5-4.jpg

সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ জারি

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে একটি নতুন সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। রোববার (১১ মে) রাতে এ অধ্যাদেশ জারি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংসদ কার্যকর না থাকায় আইন অধিকতর সংশোধন করে আশু ব্যবস্থা নিতে সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়।

কি ছিল অধ্যাদেশে

অধ্যাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত ব্যক্তি, সংগঠন বা সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরু হবে এবং শাস্তির সময়সীমা কমানো হয়েছে। সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করা হবে। এই ইউনিট সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম তদারকি করবে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করবে।

বিশেষভাবে, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদানকারী ব্যক্তিরা শাস্তির আওতায় আসবে। সরকার জানায়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে আরও জোরদার করতে, এই অধ্যাদেশে অর্থায়নকারী বা সহযোগী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর তহবিল সংগ্রহ বা কার্যক্রম চালানো বন্ধ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এছাড়া, সন্ত্রাসবাদে সহায়তা করা বা তাতে জড়িত থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তির বিধান করা হবে। একই সঙ্গে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

বিশ্লেষকদের মতামত

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইনকে আরও কার্যকরী ও শক্তিশালী করবে। তবে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা এসেছে যে, এই আইন প্রয়োগের সময় যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয়। তারা দাবি করেছেন যে, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিপীড়নের শিকার হওয়া মানুষের প্রতি যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা জরুরি।

সামগ্রিকভাবে, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা এবং সরকারের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ পাচ্ছে, যা জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক হবে।

Leave a Reply

scroll to top