দৈনন্দিন জীবনে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বাজারে গিয়ে সাধ ও সাধ্যমত ক্রয় করতে পারছেন না ক্রেতারা। সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যেভাবে বেড়ে চলছে তাতে অস্বস্তি বেড়ে চলছে ভোক্তাদের।
মূলত জীবনধারণের জন্য উপযোগী প্রতিটি জিনিসের মূল্য এখন গগনচুম্বী। আগে যে সবজি ছিলো ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে এখন তার মূল্য অর্ধশত টাকার উপরে। বাজার ঘুরলে দেখা যায় চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, পেঁয়াজ, সবজি ও ফলমূল ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের জন্যই সাধারণ মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকের সাথে কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বর্তমান সরকার বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, সিন্ডিকেটের ব্যপারে সরকার জিরো টলারেন্স। কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ দাম বাড়াতে পারবে না। তবে কখনো কখনো অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। সেজন্য ভোক্তা অধিকার আছে, তারা মাঠে কাজ করছে। যেখানে অবৈধভাবে পণ্যের দাম বাড়বে সেখানেই মেজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবে। উপদেষ্টা আরো বলেন, আমাদের দেশে খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী সেই সাথে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে তাদের ওপর। অধিক দামে পণ্য ক্রয়ের ক্ষমতা দেশের অধিকাংশ মানুষেরই নেই তাই জনস্বার্থে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। সরকার থেকে স্টাকফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং অতিশীঘ্রই মাঠে কাজ করবে।
এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিতে না পারায় সরকারের উপর নাখোশ অনেক জনগণ। বাজারের হাল যদি এই সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে তাহলে সামনের দিনে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।তাদের দাবি সঠিক বাজারব্যবস্থা ও নীতিমালা নির্ধারণের মাধ্যমে পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে হবে। যাতে তারা তাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করতে পারে। কোনভাবেই যেন অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে। এবং যারা এই কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে, তাদের আইনের আওতায় অবিলম্বে আনার দাবিও জানিয়েছেন তারা।