সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে

New-Project-2-5.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের। নাগরিকদের নির্বাচনের তারিখ না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ায় সময় দিতে হয় না, কিন্তু সংস্কারের কাজে সকল নাগরিককে অংশগ্রহণ করতে হবে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচনকে সামনে রেখে দুদিনব্যাপী জাতীয় সংলাপের ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। এদিনে সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশে (কেআইবি) এই সংলাপ শুরু হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতের অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর সহজভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদের সব শক্তি নিয়োজিত করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। সংস্কার বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। যার যাই মতামত হোক না কেন আমরা দ্রুত একটা ঐকমত‍্য প্রতিষ্ঠিত করে সংস্কারের কাজগুলো করে ফেলতে চাই। নির্বাচনের পথে যেন এগিয়ে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করতে চাই।

নাগরিকদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও উদ্যোগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হচ্ছে, এই ঐক্যের জোরেই আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সব নাগরিকের জন্য বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করে। যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, প্রত্যেক নাগরিকের, তিনি নারী বা পুরুষ, তিনি যেন বিনা বাধায় রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে উদ্যোক্তা হতে পারেন অথবা যেকোনো কর্মজীবন বেছে নিতে পারেন।

তিনি বলেন, কমিশনের প্রতিবেদনে সুপারিশ করলেই আমাকে-আপনাকে তা মেনে নিতে হবে এমন কোনও কথা নেই। এ জন্য সর্বশেষ পর্যায়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন গঠন করা হয়েছে।

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারণ করা উচিত মন্তব্য করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন কী সুপারিশ করবেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানুষ যদি কমিশনের সুপারিশ করা বয়স পছন্দ করে, ঐকমত‍্যে পৌঁছার জন‍্য আমি তা মেনে নেবো।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ন‍্যায়ভিত্তিক সমাজ নির্মাণ ছাড়া জুলাইয়ের শহীদদের আত্মদান অর্থবহ হতে পারে না। ফ‍্যাসিবাদ বাংলাদেশকে আদর্শভিত্তিক সব ধরনের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে গভীর অন্ধকারের দিকে আমাদের নিয়ে গিয়েছিল। আমরা আবার প্রিয় বাংলাদেশকে সাম‍্য, মানবিক মর্যাদা ও ন‍্যায়বিচারের পথে ফেরাবার লক্ষ‍্যে কাজ করছি।

Leave a Reply

scroll to top