তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, জুলাই-আগষ্টের ছাত্র-অজনতার অভ্যুত্থানে নতুনভাবে সূচনা হয়েছে, নতুন অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। সেই অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজেরাই বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণ করতে মেধা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা ব্যবহার করে উৎকর্ষ সাধন করতে হবে। মহান বিজয় দিবসের লক্ষ্য বৃহত্তর।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) কাকরাইলস্থ আইডিইবি ভবন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র উদ্যোগে ‘বিজয় দিবসের প্রত্যাশায় বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে
পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এইসব কথা বলেন, জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে নতুন পরিচয়ে প্রকাশ করেছে। বিশ্বসেরা ম্যাগাজিন ‘বাংলাদেশ’কে বর্ষসেরা দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এই দেশকে এগিয়ে নিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা এগিয়ে আসবে। নতুনভাবে পরিচিত হবে বাংলাদেশ। জাতির বিকাশে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন সেই প্রত্যাশা।
অন্তর্বর্তীকালিন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌ. মোঃ কবীর হোসেন বলেন, এই বিজয় দিবস নতুন করে শিখাবে সামনে এগিয়ে যেতে। সারাদেশেই বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে প্রকৌশলীরা কাজ করে যাবে।
সদস্য সচিব প্রকৌ. কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এক কঠিন সময়ে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আগামীতে সার্বজনীন আইডিইবি তৈরিতে আস্থা রাখুন। ভবিষ্যতে অবশ্যই ভাল কিছু হবে। এই সংগঠন ৫ লাখ প্রকৌশলীদের আমানত। সেটা অবশ্যই রক্ষা করার দায়িত্ব সবার।
অন্তর্বর্তীকালিন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌ. মোঃ কবীর হোসেনের সভাপতিত্বে যুগ্ম সদস্য সচিব মির্জা মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় আইডিইবি যুগ্ম আহবায়ক প্রকৌ. মো. গিয়াসউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. কাজী নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা অঞ্চলে প্রকৌশলী এরশাদুল হক, যুগ্ম আহবায়ক (চট্টগ্রাম) মো. জয়নাল আবেদিনসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।