অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় একটি ত্রিমুখী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন, যেখানে সরকারি খাত, বেসরকারি খাত এবং জনগণের প্রচেষ্টা সমন্বিতভাবে কার্যকর, স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক আর্থিক সেবা নিশ্চিত করবে।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশের ৩য় আর্থিক সংস্কার কৌশল ২০২৫–২০৩০ প্রণয়ন পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের উন্নত কর্মসূচি ও পরিকল্পনা রয়েছে, তবে তা বাস্তবায়নে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। আসন্ন সংস্কার কৌশলটি সহজ, বাস্তবায়নযোগ্য এবং বাংলাদেশের বিশেষ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত করে প্রণয়ন করার প্রতি তিনি জোর দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদার সরকারি আর্থিক সংস্কারে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, “ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে এখন সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন মাসের প্রথম দিনেই তাদের একাউন্টে পৌঁছে যায়, যা আগে ৮–৯ দিন সময় নিত। একইভাবে, পেনশন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন করায় পেনশনারেদ ভোগান্তি দূর হয়েছে। এসব সংস্কার বেসরকারি খাতেও প্রসারিত হয়েছে, যেমন সরকার-থেকে-ব্যক্তি (জিটুপি) পেমেন্ট সিস্টেম, যা দুর্নীতিমুক্ত সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্ব ভূমিকা রাখছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-১) এবং স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল প্রোগ্রাম টু এনাবল সারভিস ডেলিভারি -এর জাতীয় কর্মসূচি পরিচালক বিলকিস জাহান রিমি এবং বিশ্বব্যাংকের লিড গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট (ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট) সুরাইয়া জান্নাত।