রংপুরের মিঠাপুকুরে বিয়ে বিচ্ছেদের পর শশুরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে সোহান নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ সময় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট এবং বাড়ির টিনের বেড়া ও টিউবওয়েল নিয়ে গিয়ে স্থানীয় এক ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে।
গত ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের আরিফপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও বৈরাতীহাট তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ তা নেয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষক শাহিনুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কৃষক শাহিনুর রহমান জীবিকার তাগিদে ফরিদপুরে মাস খানেক ধরে কৃষি কাজ করছেন। শাহিনুর রহমানের বাড়িতে কোনো লোকজন না থাকায় বৃহস্পতিবার সোহান এবং হাফিজার গ্রুপের ১২/১৪ জন ভাড়াটে লোকজনসহ শাহিনুরের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে থাকা ৫ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যান তারা। এছাড়া বাড়ির আঙিনার টিনের বেড়া এবং টিউবওয়েল খুলে স্থানীয় এক ভাঙ্গারি দোকানে বিক্রি করেন।
ভুক্তভোগী শাহিনুর রহমান বলেন, ‘বাবা আমি খুব গরিব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। আমার একজন কন্যা রয়েছে। তাকে সোহানের কাছে বিয়ে দিয়েছিলাম। মেয়েটাকে সোহান শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করছিল। এসব সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্স করিয়ে নেই। সে এখন আমার সব নিয়ে গেছে। থানায় গিয়েছি, কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি’।
স্থানীয় হুমায়ূন কবির বলেন, ‘এসব শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সোহান ঘরবাড়ি ভাংচুর করছে। পরে সেই ঘরের টিনের বেডা নিজেই বিক্রি করেছে বলেও শুনেছি। সে একজন উশৃঙ্খল ও মাদকাসক্ত যুবক। তাকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে ভাংচুর করা বন্ধ রাখেনি। তার বিচার না হলে এলাকার অন্য যুবকেরাও এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে’।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোহান ও হাফিজার রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বৈরাতীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুজ্জামান জানান, ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনাটি জানতে পেরেছি। আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদরর্শন করেছি । বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।