বর্তমান সরকার কী চায়-এটা একটি বিরাট প্রশ্ন: গয়েশ্বরচন্দ্র রায়

16-15.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, বর্তমান সরকার কী চায়-এটা একটি বিরাট প্রশ্ন। তারা নির্বাচন দেবে-এটা বুঝতে পারি না, তারা বেশি দিন থাকবে-সেটাও বুঝতে পারি না। তারা যথা সময়ে দায়িত্ব পালন করে চলে যাবে, সেটাও আমরা বুঝতে পারছি না। অর্থাৎ এই যে বুঝতে পারছি না- আমরা যদি দাঁড়িয়ে চিৎকার করি, তাহলে কী জনগণের মাঝে সংশয় দেখা দেবে যে আমরা এত তাড়াহুড়ো করছি কেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমাদের এত ব্যস্ততা কেন, জনগণের মনোস্তাত্তিক বিষয়গুলো আমদের অনুভব করতে হয়।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন আহম্মেদের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, আমি আইন উপদেষ্টাকে বলব, চারটা মাস নয়, আরও কয়েক মাস বাড়িয়ে বলুন- কোন সময়ে আপনারা নির্বাচনটা দেবেন? আপনারা আমাদের সহযোগীতা চান কিনা সেটা নিয়েও সংশয় আছে। সে কারণে আমরা না পারছি বিরোধীতা করতে, না পারছি সহযোগীতা করতে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কী চায়-এটা একটি বিরাট প্রশ্ন। তারা নির্বাচন দেবে-এটা বুঝতে পারি না, তারা বেশি দিন থাকবে-সেটাও বুঝতে পারি না। তারা যথা সময়ে দায়িত্ব পালন করে চলে যাবে, সেটাও আমরা বুঝতে পারছি না। অর্থাৎ এই যে বুঝতে পারছি না- আমরা যদি দাঁড়িয়ে চিৎকার করি, তাহলে কী জনগণের মাঝে সংশয় দেখা দেবে যে আমরা এত তাড়াহুড়ো করছি কেন, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমাদের এত ব্যস্ততা কেন, জনগণের মনোস্তাত্তিক বিষয়গুলো আমদের অনুভব করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আগে শেখ হাসিনা আমাদের সামনে ছিল, আমাদের প্রতিবাদের ভাষাটা তীব্র ছিল। কিন্তু এখন প্রত্যেকটা কথা আমাদের বুঝে শুনে বলতে হয়। কারণ, আমরা দেশে একটি স্থায়ী সমাধান চাই, আমরা একটি জনগণ দ্বারা ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার চাই।’

অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের কালাম ফয়েজির সভাপতিত্বে ও জহিরুল ইসলামের কলিমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহসহ সংগঠনের হোসনে আরা প্রমুখ।

Leave a Reply

scroll to top