কুষ্টিয়ায় রেডিয়েন্ট সার্কেলের ব্যতিক্রমী ঈদ আয়োজন

New-Project-53-1.jpg

কুষ্টিয়ায় রেডিয়েন্ট সার্কেলের ব্যতিক্রমী ঈদ আয়োজন

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

ঈদের আনন্দে ভাগ বসাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা বাজারে অনুষ্ঠিত হলো রেডিয়েন্ট সার্কেলের ব্যতিক্রমী আয়োজন—‘ঈদ আড্ডা ও দ্বীনি আলাপন’। ঈদের তৃতীয় দিন (সোমবার) হালসা বাজার দারুন নাজাত মাদরাসা প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিল তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবী ও শিক্ষা অনুরাগী ডা. পলাশ মাহমুদ। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সার্কেলের শুরা সদস্য ও পরিচালক মুফতি উমর ফারুক আশিকী। মূলত তরুণ প্রজন্মকে দ্বীনি আলোয় আলোকিত করা এবং গঠনমূলক জীবনের পথে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ রইদুল ইসলাম ও মুফতি আব্দুল্লাহ আল ফারুকী। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন হালসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবু জাফর, ইঞ্জিনিয়ার সোহাগ হোসেন, শিক্ষক মাসুম আহম্মেদ, মুফতি নাজমুস সালিহীন, শিক্ষক বাশার হোসেন, ব্যবসায়ী ইয়াসিন আরাফাত ও রেজা আহম্মেদ। তাদের মূল্যবান দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য তরুণদের মাঝে উৎসাহ ও আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে।

রেডিয়েন্ট সার্কেলের সদস্য অর্ণ আল ইমতিয়াজ, তারিকুল ইসলাম, জুনায়েদ খাঁন, যুবরাজ, মুনঈম, সাব্বির, আব্দুর রহমান, হোসাইন, আবির, ইফাত, মুহিন ও রাফিউলসহ অনেকেই নিজেদের অনুভূতি ও প্রত্যাশা প্রকাশ করেন, যা পুরো অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

আয়োজনে বিশেষ আকর্ষণ ছিল অংশগ্রহণকারী তরুণদের মাঝে ইসলামিক বার্তা সম্বলিত টি-শার্ট, জ্ঞানভিত্তিক বই এবং খাবার বিতরণ। পাশাপাশি রেডিয়েন্ট সার্কেলের পক্ষ থেকে হালসা বাজার ও আশপাশের এলাকায় পথচারী ও অসহায়দের মাঝে পানীয় ও খাদ্য বিতরণ করা হয়, যা সমাজের প্রতি সংগঠনটির দায়বদ্ধতার পরিচয় বহন করে।

‘শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ’—এই তিনটি স্তম্ভে রেডিয়েন্ট সার্কেলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একটি অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন হিসেবে তারা নিয়মিত দাওয়াহ প্রশিক্ষণ, ইসলামিক মাইন্ড সেশন, স্কলারদের মাধ্যমে কাউন্সেলিং ও রিহ্যাব প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। পাশাপাশি তরুণদের প্রতিভা বিকাশে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।

“এসো দাওয়াতের আলো ছড়াই, সত্যের পথে জীবন সাজাই”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে রেডিয়েন্ট সার্কেলের এই আয়োজন তরুণ সমাজে নতুন আশার আলো ছড়িয়ে দেয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ডা. পলাশ মাহমুদ সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন, যা তরুণদের মাঝে দ্বীনি ও মানবিক চেতনা জাগিয়ে তোলে।

Leave a Reply

scroll to top