বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো দক্ষিণ আফ্রিকা। লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এই ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা।
টেস্ট ইতিহাসে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় বৈশ্বিক শিরোপা। এর আগে ১৯৯৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি নকআউট চ্যাম্পিয়নশিপে (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) তারা প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল।
ফাইনালে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য ছিল ২৮২ রান। চাপের ম্যাচে অসাধারণ ইনিংস খেলেন ওপেনার এইডেন মারক্রাম। ২০৭ বল মোকাবেলা করে ১৩৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচের পরিস্থিতি ও প্রতিপক্ষের বোলিং আক্রমণ বিবেচনায় এই ইনিংসটিকে অনেকেই ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাও। মারক্রামের সঙ্গে গড়েন ১৪৭ রানের জুটি। বাভুমা ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে আউট হন। শেষদিকে ডেভিড বেডিংহ্যাম (২১*) ও কাইল ভেরাইনি (৪*) দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠানো অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ২১২ রানে অলআউট হয়। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে ধসে পড়ে এবং মাত্র ১৩৮ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে ৭৪ রানের লিড পায় অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এক পর্যায়ে তাদের ৭৩ রানে ৭ উইকেট পড়ে যায়। তবে অ্যালেক্স ক্যারে (৪৫) ও মিচেল স্টার্ক (৫৮*) কিছুটা লড়াই করেন। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ২০৭ রানে অলআউট হয় এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রান।
চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯ রানে প্রথম উইকেট হারালেও আত্মবিশ্বাস হারায়নি প্রোটিয়ারা। একের পর এক দৃঢ় জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বিশেষ করে মারক্রাম ও বাভুমার জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
ম্যাচ শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়েরা দীর্ঘদিনের অপেক্ষা ঘুচিয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি হাতে তোলার আনন্দে মেতে ওঠে। ‘চোকার্স’ তকমা ঘোচানোর এই জয়কে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম বড় অর্জন হিসেবে দেখছে ক্রিকেটবিশ্ব।