সরকার বলছে, ইন্টারনেটের দাম কমেছে। কিন্তু বাস্তবে কি গ্রাহকরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন?
বিটিআরসি ঘোষণা দিয়েছে—৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট এখন ৪০০ টাকায় পাওয়া যাবে। আগে এর দাম ছিল ৫০০ টাকা। ১০ এমবিপিএস ৮০০ থেকে কমে ৭০০ টাকা, ২০ এমবিপিএস ১২০০ থেকে কমে ১১০০ টাকা করা হয়েছে। ‘এক দেশ, এক রেট’—এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ভিন্ন।
ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (আইএসপি) বলছে, তারা এখনো আগের দামেই ইন্টারনেট দিচ্ছে। কেউ কেউ বলছে, তাদের কোনো অফিসিয়াল নোটিশই দেওয়া হয়নি। বরং তারা যে আইআইজি বা ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে নেট নেয়, সেখানে কোনো দাম কমেনি।
তাহলে প্রশ্ন উঠে—দাম কমানোর ঘোষণায় লাভ কার হলো? গ্রাহক কি সত্যিই উপকৃত?
আরেকটি প্রশ্ন, বিটিআরসির ট্যারিফ বাস্তবায়ন হবে কীভাবে? ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ৪০০ টাকায় ৫ এমবিপিএস ইন্টারনেট দেওয়া টিকে থাকা কঠিন। কারণ ব্যান্ডউইথ, সার্ভার, কর্মী, মেইনটেন্যান্স—সবই খরচসাপেক্ষ।
এদিকে ট্যারিফে গ্রাহকসেবার মান নিশ্চিত করার কিছু শর্ত রাখা হয়েছে। যেমন, ৫ দিন নেট না থাকলে ৫০% ছাড়, ১৫ দিন না থাকলে পুরো মাসের বিল মওকুফ। কিন্তু এসব নিয়ম কার্যকর করবে কে?
সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, ঘোষণার বাস্তব প্রতিফলন কোথায়?
যদি দাম কমানো হয়, তাহলে তার সুফল গ্রাহক পাবেন—এটাই স্বাভাবিক। শুধু ঘোষণায় কিছু হয় না। প্রয়োজন বাস্তব প্রয়োগ।
সরকার বলছে, নতুন ট্যারিফ ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। তবে এখনই আইএসপিদের কিছু প্রতিষ্ঠান বলছে—তারা চলতি মাসেই এই ট্যারিফ মেনে নিচ্ছে না।
সরকার ও বিটিআরসির উচিত—সব পক্ষকে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি বাস্তবসম্মত, গ্রাহকবান্ধব এবং টেকসই সমাধান বের করা।
ঘোষণা নয়, দরকার বাস্তবতা।