চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। গত আট দিনে বন্দর অভ্যন্তরে কনটেইনারের সংখ্যা ৯ হাজারেরও বেশি কমেছে। একসময় বন্দরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ৩৭৭ টিইইউস (বিশ ফুট সমতুল্য ইউনিট) কনটেইনার থাকলেও আজ বুধবার (৪ জুন) সর্বশেষ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ২১৫ টিইইউসে।
যদিও বন্দর অভ্যন্তরে কনটেইনারের চাপ কমেছে, তবে বহির্নোঙরে এখনো ১৭টি কনটেইনারবাহী জাহাজ অবস্থান করছে, যাতে ১৯ হাজারেরও বেশি কনটেইনার রয়েছে। এছাড়া, বন্দর জেটিতেও বর্তমানে ১০টি জাহাজে কনটেইনার ওঠানামার কাজ চলছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুরোদমে সচল রয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দরে ৭,৮০৮ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। বর্তমানে বন্দর জেটি ও বহির্নোঙর মিলিয়ে ১৪৭টি পণ্য ও কনটেইনারবাহী জাহাজ অবস্থান করছে। এর মধ্যে ৪৯টি জাহাজ থেকে কনটেইনার ও বাল্ক পণ্য খালাসের কাজ চলছে।
বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জাহাজ থেকে বন্দরে ৩৩৫৮ টিইইউস কনটেইনার নেমেছে। ঢাকা আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) থেকে এসেছে ৩২ টিইইউস কনটেইনার। অফডকগুলো থেকে ২,৪১৪ টিইইউস রপ্তানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার এবং ৬১৫ টিইইউস খালি কনটেইনার বন্দরে এসেছে।
একই সময়ে, ৪৪৫০ টিইইউস কনটেইনার জাহাজীকরণ করা হয়েছে। ৮০ টিইইউস কনটেইনার ঢাকা আইসিডিতে পাঠানো হয়েছে। অফডকগুলোতে ৭৬৩ টিইইউস আমদানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার এবং ৭০০ টিইইউস খালি কনটেইনার পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, ১৮৪৫ টিইইউস আমদানিপণ্যবাহী কনটেইনার (অনচেচিজ) সরাসরি আমদানিকারকদের কাছে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে এবং বন্দর অভ্যন্তর থেকে ২১৪৬ টিইইউস কনটেইনার পণ্য খালাস দেওয়া হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কনটেইনার জট কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে এবং দ্রুততার সঙ্গে পণ্য খালাস ও ডেলিভারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
