শুরু হলো হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা

লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত মিনা উপত্যকা

New-Project-2025-06-04T164220.987.png

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা আজ বুধবার (৪ জুন) থেকে শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক” ধ্বনিতে মুখরিত করে তুলেছেন মিনা উপত্যকা। ইসলামিক বর্ষপঞ্জিকার শেষ মাস জিলহজের ৮ তারিখ, অর্থাৎ ‘ইয়াওমুত তারওয়িয়াহ’ পালনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে মুসলিম উম্মাহ’র এই মহা ইবাদত।

হজের অংশ হিসেবে হাজিরা আজ ভোরে মক্কায় তাদের আবাসস্থল ত্যাগ করে মিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অনুসরণ করে তারা মিনায় গমনকালে তালবিয়া পাঠ এবং আল্লাহর জিকির ও তাসবিহে মশগুল রয়েছেন। এ বছর বিশ্বের ১৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক হাজির সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কয়েক লাখ অভ্যন্তরীণ হাজি।

মক্কা ও পবিত্র স্থানসমূহের রাজকীয় কমিশনের সাধারণ পরিবহন কেন্দ্রের হজ ও ওমরাহ বিভাগের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আল-কারনি জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজিরা ইতোমধ্যেই মক্কায় পৌঁছেছেন। অভ্যন্তরীণ হাজিরাও মক্কায় এসে ‘তাওয়াফুল কুদূম’ সম্পন্ন করে মঙ্গলবার রাতেই মিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

ড. কারনি আরও বলেন, গত ৩৬ দিন ধরে আন্তর্জাতিক হাজিদের মক্কা ও মদিনায় আগমন প্রক্রিয়া চলেছে এবং তাদের যাতায়াত ব্যবস্থায় কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি। অভ্যন্তরীণ হাজিরা সোমবার রাত ও মঙ্গলবার মক্কায় এসে তাওয়াফ সম্পন্ন করেছেন। হাজিদের মিনা যাত্রা মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চলেছে।

মিনার পর্ব শেষ হলে হাজিরা তিনটি ভিন্ন পরিবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে আরাফার ময়দানে যাবেন। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার), ৯ জিলহজ সকালে মাশায়ির ট্রেনে প্রায় ৩ লাখ ১৬ হাজার হাজি, এবং বহুমুখী পরিবহন ও ঐতিহ্যবাহী পরিবহন ব্যবস্থায় প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার হাজি আরাফাতে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

মিনা অঞ্চলের ঐতিহাসিক আল-খায়ফ মসজিদে হাজিদের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, দাওয়াহ ও গাইডেন্স মন্ত্রণালয়। ২৭ হাজার বর্গমিটার এলাকায় জায়নামাজ বিছানো হয়েছে এবং হাজিদের নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত পরিচালনা ও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

হজ সম্পন্ন করতে সব মিলিয়ে পাঁচ দিন সময় লাগে। ৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে অবস্থানের পর, ১০ জিলহজে হাজিরা পশু কোরবানি দেবেন। এরপর আরও দুই দিন হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা চলবে।

Leave a Reply

scroll to top