কোরবানির পশুর সঠিক যত্নে যা করবেন

New-Project-2025-06-01T191351.612.png

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর মাত্র ক’দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। সামর্থ্যবান মুসলমানরা কোরবানির জন্য পশু কিনছেন বা কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে শুধু পশু কিনলেই হবে না, ঈদের আগ পর্যন্ত সেটির সঠিক যত্ন নেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত যত্ন না নিলে আপনার কোরবানির পশু অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, যা আপনার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। ঢাকা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে কোরবানির পশুর যত্নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।

কোরবানির জন্য কেনা গরুকে সুস্থ রাখতে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি:

১. পরিবহন: হাট থেকে বাড়ির দূরত্ব বেশি হলে গরুকে হেঁটে না এনে পিকআপ ভ্যানে করে পরিবহন করুন। এতে গরুর কষ্ট কম হবে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও এড়ানো যাবে।

২. খাদ্যাভ্যাস: গরুকে কেনার সময় খামারির কাছ থেকে সেটির খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। সম্ভব হলে হাট থেকেই তার পছন্দের খাবার কিনে ফেলুন, যাতে সে অভুক্ত না থাকে।

৩. খাবারের পরিবেশ: বাড়িতে আনার পর প্রথমদিকে অনেক পশু খাবার খেতে চায় না। তাই তার জন্য নিরাপদ ও শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন। জোর করে না খাইয়ে আদর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।

৪. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পানীয়: দূর থেকে আনা গরুকে প্রথমেই পরিষ্কার করে গোসল করিয়ে নিন। মুখ ডোবাতে পারে এমন পাত্রে পরিষ্কার পানি দিন। অনেক গরু ঠান্ডা পানি পান করতে চায় না, সেক্ষেত্রে কুসুম গরম পানির সঙ্গে অল্প লবণ মিশিয়ে দিতে পারেন।

৫. আবাসস্থল: কোরবানির পশুকে পরিচ্ছন্ন ও শান্ত-শীতল জায়গায় রাখুন। স্যাঁতসেঁতে, অপরিচ্ছন্ন বা নোংরা পরিবেশে রাখা যাবে না। প্রতিদিন গরুর গোবর, উচ্ছিষ্ট খাদ্য ও অন্যান্য বর্জ্য পরিষ্কারের ব্যবস্থা করুন, যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়।

৬. ঈদের দিনের গোসল: ঈদের দিন সকালে কোরবানির আগে পশুকে আরেকবার গোসল করিয়ে দিন, যাতে তার গায়ে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।

৭. ছাগলের যত্ন: খাবার ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব।

ছাগলকে সুস্থ রাখতে কিছু বিশেষ দিকে মনোযোগ দিতে হবে:

১. খাবারের পরিমাণ: ছাগল যা পায় তাই খায়, তাই তাদের সামনে বারবার খাবার দিয়ে রাখবেন না। বেশি পরিমাণে খেয়ে ছাগল অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

২. খাদ্যাভ্যাস: বিক্রেতার কাছ থেকে ছাগলের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জেনে নিন।

৩. দানাদার খাদ্য বনাম ঘাস: যেকোনো দানাদার খাদ্য (ভাত, চাল, গম) বেশি পরিমাণে খেলে ছাগলের হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই দানাদার খাবারের চেয়ে বেশি করে ঘাস খাওয়ান।

৪. পানি: দিনে ৩-৪ বার পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি খেতে দিন।

৫. কাঁঠাল পাতা: কাঁঠাল পাতায় বেশি পরিমাণে ফসফরাস থাকে, তাই খুব অল্প পরিমাণে পাতা খাওয়ান।

৬. বাসি ও পচা খাবার: বাসি ও পচা খাবারে দ্রুত গ্যাস তৈরি হয়। তাই এসব খাবার ছাগলকে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা আপনার কোরবানির পশুকে সুস্থ রাখবে এবং আপনার ঈদকে আরও আনন্দময় করে তুলবে।

Leave a Reply

scroll to top