শিলিগুড়ি করিডোরে রাফাল জেট মোতায়েন

New-Project-7-8.jpg
মুহাম্মদ নূরে আলম

শিলিগুড়ি করিডোরে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান এবং এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের ঘটনা অঞ্চলটির কৌশলগত গুরুত্ব এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতিফলন। এই করিডোর, যা ‘চিকেনস নেক’ নামে পরিচিত, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের একমাত্র স্থল সংযোগ এবং বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও চীনের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এর প্রস্থ মাত্র ২০-২২ কিলোমিটার, যা এটিকে ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত স্পর্শকাতর করে তুলেছে।

ভারতের এই পদক্ষেপ মূলত চীন ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়া। চীন-ভুটান সীমান্তে চীনের সামরিক মহড়া এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চীন ও পাকিস্তানের প্রতি ঝোঁক ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের ৩২টি চীন-পাকিস্তান নির্মিত জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান কেনার সম্ভাবনা, যেগুলো উন্নত AESA রাডার ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত, ভারতীয় সীমান্ত ও বিমানঘাঁটির জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়া, পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফর এবং গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির আলোচনা ভারতের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে।

হাশিমারা বিমানঘাঁটিতে রাফাল স্কোয়াড্রন এবং ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে হুমকি মোকাবিলায় সক্ষম এস-৪০০ মোতায়েনের মাধ্যমে ভারত একটি কৌশলগত সতর্কবার্তা দিয়েছে। এটি কেবল প্রতিরক্ষা শক্তিশালীকরণ নয়, বরং চীন ও বাংলাদেশের সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘লাল রেখা’ টানার প্রচেষ্টা। ভারতীয় সেনাবাহিনী মাল্টি-জোন প্রতিরোধমূলক মতবাদ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রিয়েল-টাইম নজরদারি, সাইবার-ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, ত্রি-সেবা সমন্বয় এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রোন চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং আকাশপথে নজরদারি জোরদার করা ভারতের সতর্কতার অংশ।

তবে, এই পদক্ষেপ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু এক্স পোস্টে এটিকে চীন ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হলেও, অন্যরা এটিকে ভারতের আগ্রাসী নীতি বা অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সামরিক শক্তি প্রদর্শন হিসেবে সমালোচনা করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে, তারা অঞ্চলটির ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

সামগ্রিকভাবে, শিলিগুড়ি করিডোরে ভারতের এই সামরিক মোতায়েন কেবল প্রতিরক্ষা নয়, বরং একটি স্পষ্ট কৌশলগত বার্তা যে, এই অঞ্চল ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। ভারতের এই করিডোর আসলেই খুবই স্পর্ষকতর যার মাধ্যেমে এই নিয়ে আরো অনেক কিছু বরা চলে বরে মনে করেন তাররা এই নিয়ে বাংরাদেশে ও বারতের মদ্যে আরো অনেক কিছু হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

 

 

মুহাম্মদ নূরে আলম

মুহাম্মদ নূরে আলম

মুহাম্মদ নূরে আলম (Muhammad Noora Alam) একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক ও কনটেন্ট বিশেষজ্ঞ, যিনি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রিন্ট, অনলাইন এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ঢাকা পোস্ট, নয়াদিগন্ত, বিজনেস মিরর এবং শিরোনাম মিডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমে সাব-এডিটর ও কনটেন্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এনভিডিয়া ও দুবাই ওয়ান মিলিয়ন প্রমপ্টার্স থেকে জেনারেটিভ এআই ও প্রমপ্ট ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সনদপ্রাপ্ত। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পাঠকবান্ধব, প্রাসঙ্গিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রভাব ফেলতে সক্ষম কনটেন্ট তৈরিতে তার দক্ষতা অনন্য। ব্যবসা, প্রযুক্তি, সমাজ ও সমসাময়িক বিষয়ের উপর লেখালেখিতে তার পারদর্শিতা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি ‘স্বপ্নবাজ ফাউন্ডেশন’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ‘রেঁনেসা ফাউন্ডেশন’-এর মিডিয়া প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।

Leave a Reply

scroll to top