আসন্ন পবিত্র হজের খুতবা এবারও ২০টিরও বেশি ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারিত হবে, যার মধ্যে বাংলাও রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করতে চারজন বাংলাদেশি অনুবাদক ভূমিকা রাখবেন। এই চারজন হলেন- ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান, মুবিনুর রহমান এবং নাজমুস সাকিব। তারা সবাই মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। মূল আরবি খুতবার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের বাংলায় করা অনুবাদও সম্প্রচার করা হবে।
আগামী ৪ জুন এ বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে এবং পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার (৫ জুন)। ওই দিন পবিত্র আরাফাতের ময়দানে লাখো হাজির উদ্দেশে মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদ মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দিতে এই খুতবা ২০টিরও বেশি ভাষায় অনুবাদ করে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী সাধারণ কর্তৃপক্ষ এই বিশাল কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করছে।
২০১৮ সালে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের বিশেষ নির্দেশনায় আরাফার খুতবা অনুবাদ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রথম দিকে মাত্র ৫টি ভাষায় খুতবা সম্প্রচার করা হলেও, সময়ের সাথে সাথে এর পরিধি বাড়তে থাকে। ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা এই প্রকল্পে যুক্ত হয় এবং তখন ১০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ সম্প্রচার করা হতো।
এরপর ২০২১ সালেও বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় খুতবা সম্প্রচার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে ১৪টি, ২০২৩ সালে ২০টি এবং ২০২৪ সালে ২০টিরও বেশি ভাষায় আরাফার খুতবা অনুবাদ করা হচ্ছে। শুধু আরাফার খুতবাই নয়, মদিনার পবিত্র মসজিদে নববীর খুতবার অনুবাদ কার্যক্রমও সমান তালে চলছে।
প্রতি সপ্তাহের জুমা, দুই ঈদ, বৃষ্টির নামাজ, সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের নামাজ, হজ ও ওমরাহ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং বক্তব্যের অনুবাদও করা হচ্ছে। ইসলামের শিক্ষা ও শান্তির বাণী পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই প্রতি বছর এই অনুবাদ কার্যক্রমে নতুন নতুন ভাষা যুক্ত হচ্ছে। এই উদ্যোগ বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং ইসলামের মূল বার্তা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।