উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দর—চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা—কে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে দমকা হাওয়া, যার ফলে জনজীবনে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, দেশ একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টিবলয়ের আওতায় রয়েছে। এই বৃষ্টিবলয় চলতি বছরের পঞ্চম এবং প্রথম মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যা আগামী ৩ জুন (মঙ্গলবার) রংপুর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের আট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলাসমূহের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া, দেশের ১৯টি অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সম্ভাব্য বৃষ্টিপাতের পরিমাণ (মিলিমিটারে):
- ঢাকা: ১৭০–২২০
- খুলনা: ১৬০–২৫০
- বরিশাল: ১৬০–২৫০
- সিলেট: ২০০–৩৫০
- ময়মনসিংহ: ১৫০–২২০
- রাজশাহী: ৮০–১৪০
- রংপুর: ১৭০–৩০০
- চট্টগ্রাম: ১৯০–৪০০
আবহাওয়া অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান করবে। সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার এবং আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্যের প্রতি নজর রাখার অনুরোধ করা হয়েছে