সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার পাইকোশা গ্রামে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়ালসহ পাঁচ নিরীহ গ্রামবাসীকে পরিকল্পিতভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (২৫ মে) পাইকোশা মাসুয়া বাজারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় শতাধিক গ্রামবাসী ও ব্যবসায়ী এই হয়রানির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। পাইকোশা বাজার সমিতির সভাপতি মো. মুসির মন্ডলের সভাপতিত্বে এবং ওমর মাস্টারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, ঝাঐল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক সেলিম রেজা তার রাজনৈতিক অবস্থানকে অপব্যবহার করে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়ালসহ পাঁচজনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন।
‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ’
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরও বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করছেন। তার বিরুদ্ধে এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আগে থেকেই রয়েছে। এবার তিনি নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একটি বিশেষ মহলের সহায়তায় নিরীহ মানুষদের টার্গেট করছেন।
সভায় উপস্থিত বক্তারা প্রশাসনের প্রতি অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানান এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত ইসলামীর সভাপতি আব্দুর রশিদ মুন্সি, স্থানীয় সমাজসেবক জয়নাল মাস্টার, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, পাইকোশা গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা হাজী মো. হালিম, মো. শহিদুল, মো. ফনি, মো. বাবুসহ আরও অনেকে।
সভায় পাইকোশা বাজার এলাকার তিন শতাধিক ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। বক্তারা সবাই এক কণ্ঠে বলেন, “আমরা রাজনীতি চাই না, শান্তি চাই। মিথ্যা মামলা দিয়ে কোনো নিরীহ মানুষের জীবন ধ্বংস হতে দেব না।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের একাংশ এ ধরনের হয়রানির বিষয়ে অবগত থাকলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই নীরব ভূমিকা নিয়ে সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং হয়রানি বন্ধ না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো। প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে এর দায় নিতে হবে।”