যে উইকেটে প্রথম দেড় দিনে বাংলাদেশি বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলছিল সাউথ আফ্রিকার প্রত্যেকটি ব্যাটার। সে মাঠেই ব্যাটিংয়ে নেমেই খেই হারিয়ে ফেলেছে টাইগার ব্যাটাররা। মাত্র ৩২ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে গেছেন চার টাইগার ব্যাটার। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮ রান।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান করেছে সাউথ আফ্রিকা। সাউথ আফ্রিকার ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন-ডি জর্জি, স্টাবস ও মুল্ডার। বাংলাদেশের প্রাপ্তি কেবল তাইজুল ইসলামের ৫ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের দুই তৃতীয়াং ব্যাটিংয়ের পর ইনিংস ঘোষণা করে সাউথ আফ্রিকা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম। কিন্তু প্রথম টেস্টের মতো এই টেস্টেও ব্যর্থ সাদমান ইসলাম। রাবাদার শিকার হয়ে শূন্য রান করেই সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি। তার বিদায়ে ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সাদমানের বিদায়ের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। তবে এই জুটিকেও বেশিদূর এগোতে দেননি কাগিসো রাবাদা। রাবাদার বলে কাইল ভেরেইনার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান জাকির। ফেরার আগে করেছেন ৮ বলে মাত্র ২ রান।
জাকিরের বিদায়ের পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়। ডেন প্যাটারসনের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই ওপেনার। দলীয় ৩২ রানে তৃৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
জাকিরের বিদায়ের পর ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে ক্রিজে আসেন পেসার হাসান মাহমুদ। তবে তিনিও আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হন। ৭ বলে মাত্র ৩ রান করে স্পিনার কেশব মহারাজের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন হাসান। ৪ রানে উইকেটে অপরাজিত আছেন আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ও মুমিনুল হক আছেন ৬ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৫৩৭ রানে।
এদিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে আলোক স্বল্পতার কারণে ১৭ ওভার কম খেলেই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের খেলা। সেই ঘাটতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে আগামীকাল তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে ১৫ মিনিট আগে। অর্থাৎ, সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে।