সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন খুবির তৎকালীন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য

New-Project-11-7.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ খুবি প্রতিনিধি

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তৎকালীন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য।

৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে প্রাণরক্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা জাহানাবাদ সেনানিবাসে আশ্রয় নেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে আইএসপিআর নতুন তালিকা প্রকাশ করে। সে তালিকায় দেখা গেছে খুলনা জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নিয়ে ছিলেন ৬ জন।

খুলনা-যশোর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শীর্ষ পর্যায়ের এই দুই কর্মকর্তা ছিলেন সেই ৬২৬ জনের তালিকায়, যাদের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়, আশ্রয়প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ২৪ জন রাজনৈতিক নেতা, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ পেশার ১২ জন এবং ৫১ জন নারী ও শিশু—যারা ছিলেন তাদের পরিবারবর্গ।

খুলনার জাহানাবাদ ক্যান্টনমেন্টে স্থান পাওয়া উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন খুলনা সিটির তৎকালীন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার সহধর্মিণী, সাবেক উপমন্ত্রী ও বাগেরহাট-৪ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুন নাহার। আছেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কেসিসির সাবেক প্যানেল মেয়র এস এম রফিউদ্দিন আহমেদ।

তালিকায় আরও রয়েছে যশোরের তৎকালীন ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ একাধিক সরকারি কর্মকর্তা এবং সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও তার সহকারী।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সে সময় নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়।

 

Leave a Reply

scroll to top