দুপুরের মধ্যে দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার (২৩ মে) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিকুল নেওয়াজ কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর (এক) সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বজ্রমেঘ সৃষ্টির কারণেও এই ধরনের ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়া অফিসের পরামর্শ
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় নদীবন্দরগুলোতে কর্মরত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং নৌযান চালকদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ছোট নৌযানগুলোকে এই সময়ে সাবধানে চলাচল করতে এবং প্রয়োজনে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সর্বসাধারণের প্রতি আবহাওয়া অফিসের পরামর্শ
চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সর্বসাধারণের জন্য জরুরি সতর্কতা ও পরামর্শ জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। একইসাথে আকস্মিক বৃষ্টিপাত, বজ্রঝড়, এবং কালবৈশাখীর মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই সময়ে অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হতে এবং বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরামর্শে বলা হয়েছে, বজ্রপাত চলাকালীন সময়ে খোলা মাঠ, উঁচু স্থান, গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটির নিচে আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত থাকা। সম্ভব হলে নিরাপদ ও মজবুত ভবনের ভেতরে অবস্থান করা। এ সময় বিদ্যুতের তার বা ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা উত্তম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা ক্রমশই বাড়ছে। তাই পূর্বাভাস অনুযায়ী সচেতন থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি কমানো সম্ভব।