যশোর শহরের শংকরপুর এলাকায় বাড়ির পাশে কলাবাগানে খেলার সময় কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বিস্ফোরিত হয়ে খাদিজাতুল কুবরা (৫) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। তার ভাই সজীব আহম্মেদ (৭) গুরুতর আহত হয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার (১৯ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খাদিজা ও আহত সজীব শংকরপুরের বাসিন্দা শাহাদাত হোসেনের সন্তান। পেশায় অটোরিকশাচালক শাহাদাত জানান, সকালে সজীব বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে টেপমোড়া একটি কৌটা কুড়িয়ে পায়। বাড়ি ফিরে সে বোন খাদিজার সঙ্গে সেটিকে বল হিসেবে খেলছিল। এ সময় কৌটাটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের শব্দে তাদের মা সুমি খাতুন ছুটে গেলে তাদের ছোট বোন আয়েশা সুলতানা (৩) পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হয়।
চিকিৎসকদের পরামর্শে খাদিজাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে গোপালগঞ্জে পৌঁছালে দুপুরে তার মৃত্যু হয়। যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণে খাদিজার পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সজীবের একটি হাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা কেটে ফেলতে হয়েছে। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
শাহাদাত হোসেন ২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ-এর প্রতিবেদককে বলেন,
“একটি বোমার বিস্ফোরণে মেয়েকে হারালাম। ছেলের একটি হাত উড়ে গেছে, পেটের নাড়ি বেরিয়ে গেছে। তাকে বাঁচাতে পারব কি না, জানি না।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শংকরপুরের গোলপাতা মসজিদের পাশের একটি বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, বোমাটির উৎস জানতে তদন্ত চলছে। খাদিজার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এ ধরনের ঘটনা এলাকায় নজিরবিহীন। বোমাটি কীভাবে কলাবাগানে এল, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও প্রশ্ন রয়েছে।
এমএনএ